ভিক্ষুকের সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ভিক্ষুকসহ তিন জনকে কুপিয়ে জখম

6
382

গোপালগঞ্জ থেকে মিজানুর রহমান মানিকঃ

গোপালগঞ্জে জাহানারা বেগম নামের এক ভিক্ষুকের সম্পত্তি দখলে ব্যর্থ হয়ে তাকে ও তার মেয়েসহ তিন জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে শহীদুল ভূঞাসহ তার চার ছেলে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার কাজুলীয়া মাদ্রাসা পাড়া ভূঞা বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটে।

গুরুতর আহত ভিক্ষুক জাহানারা বেগম (৭০), তার মেয়ে রিজিয়া বেগম (৩৫) ও প্রতিবেশী আলীউজ্জামান ভূইঞা (৬৫) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, জাহানারা বেগমের স্বামী বেশ আগে মারা গেছেন। বাড়ী বাড়ী ভিক্ষা করে তার সংসার চলতো। ছয় শতক জমি তার শেষ সম্বল। দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন তারা থাকেন শশুর বাড়ীতে। ছেলে না থাকায় ভাসুরের ছেলে শহীদুল ভূইঞা আপছা সম্পত্তি হিসেবে এক শতক দাবি করে দেড় শতক জমির উপর ঘর করে থাকে। ঘর না থাকায় এলাকাবাসী চাঁদা তুলে জাহানারা বেগমকে স্বামীর ভিটায় একটি ঘর করে দেন।

বয়সের ভারে এখন সে ঠিক মত চলতে পারে না। শহীদুল ভূইয়া আপছা সম্পত্তিতে সন্তুষ্ট না সে পুরো সম্পত্তি ভোগ করার উদ্দেশ্যে জাহানারা বেগমের জায়গায় জোর পূর্বক ঘর তোলার উদ্যেশ্যে মাটি খোড়া শুরু করে। বাধা দিতে গেলে শহীদুল ভূইয়া ও তার ছেলেরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জাহানারা বেগম ও তার মেয়ে রিজিয়া বেগমকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। চিৎকার শুনে নিকটতম প্রতিবেশী আলীউজ্জামান ভূইয়া ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। বর্তমানে তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে মোঃ আল হাদিস ভূইয়া বাদী হয়ে

শহীদুল ভূইঞা (৫২), তার চার ছেলে মোঃ মুহিম ভূইঞা (২৫), মোঃ তুহিন ভূইঞা (২২), মোঃ জসিম ভইূঞা (২৮), মোঃ শাহিন ভূইঞা (১৯), স্ত্রী রাজিয়া বেগমের (৫০) নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

কাজুলীয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাখম লাল দাস জানান, মামলা এক নম্বর আসামি ইতিপূর্বে কাজুলিয়া পল্লী মঙ্গল ইউনাইটেড স্কুল এ্যান্ড কলেজের স্বরস্বতি পূজা মন্ডবে ও বাজুনিয়া কালি মন্দিরে আগুন দিয়ে পোড়ায়। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ আসামি একজনকে গ্রেফতার করেছে। অচিরেই বাকীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আইয়ুব হোসেন জানান, আমরা রাজিয়া বেগম নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশাকরি তারা অচিরেই ধরা পড়বে।