‘ফলদ বাংলাদেশ’গড়ার লক্ষ্যে ৪০০ কিমি পদযাত্রায় এগিয়ে চলছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ

0
205

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর বুধবার থেকে শুরু হয়েছে “ফলদ বাংলাদেশ” জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ৪০০ কিলোমিটার পদযাত্রা ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বশ্বিবদ্যিালয়রে শক্ষিক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত দলটি কুমিল্লা থেকে চৌদ্দগ্রামের পথে এগিয়ে চলছিলো দুর্বার গতিতে।

ব্যতিক্রম উদ্যোগী দলটি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জয় বাংলা ভাস্কর্যে পুষ্প অর্পণ, ক্যাম্পাসে বৃক্ষ রোপন ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার পর খাগড়াছড়ি পর্যন্ত ৪০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করে। পদযাত্রার নাম ‘ফলদবৃক্ষ পদযাত্রা’।

পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সদস্যগণ বলছেন তাদের পদযাত্রা সমাপ্ত হবে ৩১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ এর মাধ্যমে।

ফলদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দ্রবিড় সৈকত বলেন, “পুষ্টি অর্থ সবুজ পথ, ফলের গাছেই ভবিষ্যৎ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফলদ বাংলাদেশের আয়োজনে বৃক্ষ পদযাত্রায় ফলের গাছের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের জন্য ক্ষতিকর বৃক্ষেও প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং ফলদ বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে ক্যাম্পাস থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত (ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি) ৭টি জেলার,২৪টি উপজেলা সহ দেড় শতাধিক বাজারে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে যাচ্ছি।

পদযাত্রীদের মধ্যে হুমায়ুন কবির টুটুলের মতে, আমরা বিদেশি ক্ষতিকর বৃক্ষের বিপরীতে আমাদের বাস্তুসংস্থানের উপযোগী বৃক্ষকে গুরুত্ব দেয়াই আমাদের লক্ষ।

ফলদ বাংলাদেশর এই ফলদ বৃক্ষ পথযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্রাবিড় সৈকত, সেকশন অফিসার মাহমুদুল আহসান লিমন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাতুল মুন্সী, হুমায়ুন কবীর টুটুল, নিউটন চাকমা, শাহীন আলম, সুজালো চাকমা ও রঞ্জিত কুমার।

উল্লেখ্য যে,২০১৩ সালে ১২জুন সংগঠন এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে।

২০১৩ সাল থেকে ২০২০পর্যন্ত ইতিমধ্যে ফলদ বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবকবৃন্দ সারা দেশের ৪৬ টি জেলার একাধিক উপজেলা এবং গ্রামে গ্রামে প্রায় ২,৭৫,০০ (দুই লক্ষ পচাত্তর হাজার) ফলের বৃক্ষ রোপন করেছে। রোপন পদ্ধতির বিশেষত্বের করণে রোপিত বৃক্ষের ৯৫ ভাগ টিকে আছে এবং ফল দিচ্ছে।

২০৩০ সালের মধ্যে পত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সারা বাংলাদেশ অন্তত পাঁচ কোটি (৫০০,০০,০০০) ফলের গাছ রোপন ও মানুষকে সচেতন করার মাধ্যমে পরিবেশ ও মানসিকতার সমস্যাবলী যথাযথ সমাধান নিশ্চিত করার অবদান রাখা সংগঠনটির লক্ষ্য।

ফলদ বাংলাদেশ বৃক্ষ পদযাত্রা-২০ টিম ২২ তারিখ সকালে কসবা থেকে ব্রাহ্মণপাড়ার দিকে রওনা হয় ভোর ৬.৩০ মিনিটে কসবা ডাক বাংলো থেকে।