আবু তৈয়ব সুজয়ঃ সিরাজগঞ্জ থেকে
ছবির নির্মাণ কাজ শেষে সেন্সরে গেলো ‘একজন মহান পিতা’। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার দেশের অনেকগুলো প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে এই ছবিটি। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর নির্যাতিত মেয়েদের যাপিত জীবনের করুণ কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘একজন মহান পিতা’। নির্যাতিতা মা’র সন্তানদের পিতৃপরিচয় না থাকায় সমাজে চলার প্রায় সব পথ যখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই জাতির পিতা তাদেরকে নিজের মেয়ে বলে স্বীকৃতি প্রদান করেন। তাদের নতুন নাম দেন ‘বীরাঙ্গনা’। এমন একটি ঐতিহাসিক ও ট্রাজিক গল্প নিয়ে নান্দনিক ও জীবনঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্রের নির্মাতা মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন। তিনিই এই ছবির কাহিনী ও চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন।
চলচ্চিত্রটি প্রযোজনার মধ্যে দিয়ে প্রয়োজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি শেখ শাহ আলম। এই ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করছেন মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেনের কন্যা নবাগত মির্জা আফরিন ও হিমেল রাজ। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন ছবির প্রযোজক শেখ শাহ আলম, আলভি সরকার, সৃষ্টি মির্জা, সাগরিকা মন্ডল, রাশেদুল ইসলাম রাজিব, রাশেদ রেহমান, শ্যামল কান্তি নাগ, রেজাউল রাজু, চান মিয়া সওদাগর প্রমূখ।
বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট নিবেদিত এই ছবিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক একটি বিষয়কে উপজীব্য করে নির্মিত ছবিটি নিয়ে আশাবাদী পরিচালক মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন। এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, ‘জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘একজন মহান পিতা’ চলচ্চিত্রটি খুব কম সময়ে শুটিং শেষ করেছি। এতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন হিমেল রাজ ও মির্জা আফরিন। বেশ ক’বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সীমাহীন উদারতার একটি বিষয়কে উপজীব্য করে এই গল্পটি লিখেছিলাম। ২০১৬ সালে এই গল্প নিয়ে একটি বেতার নাটকও নির্মাণ করেছিলাম। সেই গল্পটি ভেঙে আরও জীবন্ত করে তোলার চেষ্টা করেছি ‘
ছবির প্রযোজক শেখ শাহ আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সৃস্থ্যধারার সংস্কৃতির কোন বিকল্প নেই। যুব সমাজ নাটক, সিনেমা, গান, কবিতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মরণ নেশা এখন মারণাস্ত্র হয়ে নিরবে ঘায়েল করছে যুবশক্তিকে। এসব থেকে বাঁচার জন্যে যে পদক্ষেপগুলো নেয়া যেতে পারে তার জরুরি একটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ পরিবেশনা। আর সেটি যদি হয় চলচ্চিত্র তাহলে যুব সমাজকে সঠিক পথে টানতে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই এই স্পর্ধিত প্রয়াসকে আলোর মুখ দেখাতে সাথে পেয়েছি মির্জা সাখাওয়াত হোসেনের মতো গুণী পরিচালককে।