মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেল ইভটিজিংয়ে অভিযুক্ত পল্লী বিদ্যুতের পিসিএম

0
277

গোপালগঞ্জ থেকে মিজানুর রহমান মানিকঃ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানাধীন জলিড়পাড় ইউনিয়নে টেকেরহাট পল্লী বিদ্যুতের পিয়ন কাম মেসেঞ্জার (পিসিএম) চুন্নু মাতব্বরকে সোমবার দুপুরে সুষ্ঠ বিচারের মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে পল্লী বিদ্যুতের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।

সোমবার সকালে চুন্নুর বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে তাকে আটকে রেখেছিলো গ্রামবাসী। অভিযুক্ত পিসিএম চুন্নু মাতব্বর মাদারীপুর জেলার মোস্তফাপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে। সে টেকেরহাট পল্লী বিদ্যুত অফিসের অধীনে কর্মরত।

বিভাস চন্দ্র সিকদার, সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার চুন্নু মাতুব্বরের ইভটিজিং এর বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে চুন্নুর বিরুদ্ধে তারা তদন্তসাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।

অন্যদিকে ঘটনার পরপরই মুকসুদপুর থানার ইউএনও মো জোবায়ের রহমান রাশেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ভুক্তভোগীর স্বামীকে সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দেন এবং লিখিত অভিযোগের পরামর্শ দেন।

ভুক্তভুগী নারীর অভিযোগ অনুসারে, সোমবার চুন্নু বিদ্যুতের বিল রিডিং করতে এসে, ভুক্তভোগীকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং বলে তার প্রস্তাবে রাজি হলে তাদের বিদ্যুতের বিল কম দেখানো হবে। ঘটনার পরেই, ভুক্তভোগী তার স্বামীকে ফোনে বিষয়টি জানান।

ভুক্তভোগীর স্বামী তাৎক্ষনিক বাড়িতে এসে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং গ্রামের মানুষের কাছে সোপর্দ করে।

এই ঘটনার পরে অন্যান্য অনেক নারী বলেন, এই চুন্নু মাতব্বর তাদেরকেও এভাবে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু এতোদিন তারা বিষয়টি কারো কাছেই বলেননি।

একজন গ্রামবাসী অসিত গাইন বলেন, আজকের ঘটনার পরে অনেকেই চুন্নু মাতব্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। সে এধরনের ঘটনা আরো কয়েকবার ঘটিয়েছে কিন্তু কেউ অভিযোগ করেননি।

এদিকে বাবু বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক ইলেকট্রিশিয়ান চুন্নু মাতব্বরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। বাবু বিশ্বাস আপোষ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

টেকেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মোঃ সোহাগ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিযয়টি উনি শুনেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন।