প্রযুক্তি বিদ্যায় নারীদের পারর্দশী করায় আলোচনার কেন্দ্রে উদ্যোক্তা ঊর্মি

0
433

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যানকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর” জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম নারীর এই অবদানের কথা বলে গেলেও তারপর অর্ধ শতাব্দী কাটিয়ে আজও সমাজের রক্ষচক্ষু থেকে রেহাই পাওয়া হয়ে উঠেনি নারীদের।

বিশেষ করে, নারী যখন এগিয়ে আসার চেষ্টায় রত তখন পদে পদে বাঁধা সৃষ্টি করে। সে বাঁধা উপেক্ষা করে ময়মনসিংহে ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া নারী শিক্ষার্থীদের গ্রাফিক ডিজাইন (কোর্স) শিখিয়ে স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছেন ময়মনসিংহের মেয়ে ঊর্মি সরকার। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে সামাজিক রক্তচক্ষু এখন আর বড় বাধা বলে মনে করেন না এই নারী উদ্যোক্তা।

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি থেকে লেখাপড়া শেষ করে মেয়েদেরকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলতে ‘টেকনো এম্প্রেস’ নামক প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে শুধুমাত্র নারীদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান দিয়ে কিভাবে স্বাবলম্বী করা যায়। বর্তমানে ৩০ জন নারী গ্রাফিক ডিজাইনারের প্রশিক্ষনরত রয়েছেন ঊর্মির তত্বাবধানে।

ঊর্মি জানান, সামনে আরো বড় আকারে গ্রুপের পরিধি বাড়ানোর কথা ভাবছেন। তাছাড়া, টেকনিক্যাল লাইনে আরো নারীদেরকে সম্পৃক্ত করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা যায় কিনা সে ব্যাপারেও কাজ করবেন। এরই মধ্যে মুখোমুখি হতে হচ্ছে নানা সমস্যার। কিন্তু এসব সমস্যার সমাধান করে নিজ লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াই একজন উদ্যোক্তার কাজ এবং তিনি এই মনোভাব নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ।

তিনি আরো জানান, একটা সময় ছিল যখন একজন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করা শুরু করলে প্রথমেই লড়াই করতে হয় সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে বললেন ওই নারী । কিন্তু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমস্যা অনেকটাই কম কিন্তু একেবারে শেষ হয়ে যায়নি বলে তিনি মনে করেন ।

এর পিছনে সকল সেক্টরে কাজ করে এগিয়ে আসা নারীদের অবদানের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে, টেকনিক্যাল লাইনে নারীদের কাজ করতে দেখা গেলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে এ সেক্টরে কিছুটা পিছিয়ে আমাদের দেশ। কিন্তু তিনি মনে করেন যে, আমরা চাইলে অন্যান্য সেক্টরের মত টেকনিক্যাল লাইনেও নারীরা বড় ভূমিকা রাখতে পারবে নারীরা। সেই উদ্যোগ নিয়ে তিনি এগিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন যে, নিজের প্রচেষ্টার পাশাপাশি পারিবারিক সহযোগিতাও প্রয়োজন সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তিনি তার পরিবার থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ।

পুরুষদের পাশাপাশি ফ্রি ল্যান্সার হিসেবে নিজে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন ভার্সিটিতে অধ্যায়নরত অবস্হায় একজন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার অনুপ্রেরণা আসে । সেই অনুপ্রেরণা থেকেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন এবং এই করোনাকালীন সময়ে মেয়েদের গ্রাফিক ডিজাইনারের কোর্স শিখিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য তিনি কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতে শুধু গ্রাফিক ডিজাইনিং নয় আরও অনেক কিছু নিয়ে কাজ করার কথা জানান।

ঊর্মি জানান, প্রতি মাসে নারীদের জন্য বিনামূল্যে কিছু প্রশিক্ষন থাকে কম্পিউটার এর বেসিক স্কিল ডেভেলপ করতে। সেখানে ২০০ জন শিক্ষার্থী জয়েন করতে পারে।