মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. এ. এম চৌধুরীর ৫০০ এর অধিক প্রকাশনা ও বইসমূহ ঢাবি’র আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগে হস্তান্তর

0
128

বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকাশ বিজ্ঞানী ও দুর্যোগ পূর্বাভাস বিশেষজ্ঞ ড. এ. এম চৌধুরী-এর ৫০০ এর অধিক প্রকাশনা ও বইসমূহ আজ ৩১ জুলাই ২০২২ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের গ্রন্থাগারে হস্তান্তর করা হয়। ড. এ. এম চৌধুরী-এর উত্তরাধিকার এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর জনাব আনীর চৌধুরী এবং এম-পাওয়ার সোশ্যাল-এর প্রধান নির্বাহি জনাব মৃদুল চৌধুরী প্রকাশনাসমূহ প্রদান করেন।

এউপলক্ষ্যে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে উক্ত বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ড. এ. এম চৌধুরী-এর স্মরণে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ আব্দুস সামাদ এবং স্পারসো-এর সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. দেওয়ান আবদুল কাদির। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক তাওহীদা রশীদ, পিএইচডি।

উল্লেখ্য, ড. এ. এম চৌধুরী গত ১৯ মে ২০২২ রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে ৮১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এবং পরবর্তীতে মিরপুর বুদ্ধিজীবি করবস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

বিশিষ্ট এই বিজ্ঞানী রোজ প্যাটেল থিওরির প্রবক্তা। ৭০-এর দশক থেকে তাঁর যুগান্তকারী মডেলগুলোর সাথে ঘূর্ণিঝড়ের ভবিষ্যদ্বাণীতে মূল অবদানের জন্য বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক এই চেয়ারম্যান ১৯৯৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘স্বাধীনতা পদক’ গ্রহণ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় নাসা গ্রুপ অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার অর্জন করেন।

অসামান্য মেধাবী ড. এ. এম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে সে সময়ের শ্রেষ্ঠ রাজা কালী নারায়ণ বৃত্তির অধিকারী ছিলেন। নবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্দুস সালামের সাথে কাজ করেছেন এই গুণীজন। গাণিতিক পদ্ধতিতে দুর্যোগের পূর্বাভাস নিয়ে তিনি দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন।

এই মহাকাশ বিজ্ঞানী ১৯৪০ সালে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার দিনারপুর পরগনার অর্ন্তরভূক্ত কায়স্তর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিত বিষয়ে এমএসসি এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে স্পেস সাইন্স বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ও ১৯৬৯ সালে স্পেস ফিজিক্স বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন।