বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের ফি অনলাইনে প্রদানে একসাথে কাজ করবে এটুআই

0
136

ঢাকা, বাংলাদেশ, জুন ০৭, ২০২২:

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবহিকতায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের সকল ধরনের ফি এটুআই-এর ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে ‘একপে’-এর মাধ্যমে আদায়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ার অবস্থিত এটুআই-এর সভাকক্ষে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস (যুগ্মসচিব) মো: দাউদ মিয়া, এনডিসি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় গ্রাহকরা কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন ফি, কপিরাইট সোসাইটি নিবন্ধন ফি, চলচ্চিত্রের প্রকাশের লাইসেন্স ফি’সহ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস-এর সকল ধরনের ফি/বিল একপে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমেও গ্রাহকরা যেকোনো ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের সকল ধরনের ফি সহজ ও ঝামেলাহীনভাবে প্রদান করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে তৈরির স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে হবে। অন্যথায় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকা যাবে না। প্রচলিত ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরের পথে এটুআই-এর ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে ‘একপে’ অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল লেনদেনে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। আজকে এটুআই এবং বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ফলে ‘একপে’ দেশের ডিজিটাল আর্থিক সেবা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে অবদান রাখবে। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষও যেনো অবদান রাখতে পারে এবং সহজে ও স্বল্প সময়ে সকল ধরনের আর্থিক সেবা নিতে পারবে সেজন্য একপে-কে প্রতিবন্ধীবান্ধব করে তুলতে কাজ করছে এটুআই।

রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস (যুগ্মসচিব) মো: দাউদ মিয়া, এনডিসি বলেন, কপিরাইট আইন ও কপিরাইট বিধিমালার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, নাট্যকর্ম, সংগীতকর্ম, রেকর্ডকর্ম, শিল্পকর্ম, চলচ্চিত্র বিষয়ককর্ম, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন সম্প্রচার, কম্পিউটার-সফটওয়্যারকর্মের কপিরাইট নিশ্চিতে সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। এই সেবা প্রদানে এতোদিন ই-চালানের কোনো সুযোগ ছিলো না। অন্যদিকে, এটুআই-এর ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে ‘একপে’-এর সাথে আমাদের সফটওয়্যারে ইন্টিগ্রেটেড না থাকায় আমরা সমাজের সৃজনশীল ব্যক্তিদের ডিজিটাল পেমেন্টের কোনো সুবিধা দিতে পারছিলাম না। আজকের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে আমরা আশা করছি শিগগিরই সফটওয়্যার ইন্টিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করতে পারবো এবং কপিরাইট অফিসের বিভিন্ন ফি ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রচলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সেবার ফি প্রদান ব্যবস্থাকে সহজ ও সমন্বিত করার লক্ষ্যে এটুআই-এর ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে ‘একপে’ প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর এই প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন করেন। প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে গ্রাহকরা গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, শিক্ষা সংক্রান্ত ফি, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার বিভিন্ন সেবার ফি, পরিষেবা বিল, ভূমি ফি’সহ সকল ধরনের সরকারি সেবার ফি প্রদান করতে পারছেন। গ্রাহকরা যেকোনো ধরনের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), ডিজিটাল ওয়ালেট, কার্ড (ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড, প্রিপেইড), ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ব্যাংকের শাখা ও ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। ইতোমধ্যে দেশের ৩০টি আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত একপে-এর মাধ্যমে দেশের ১৬টি পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ ৫০টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সকল ধরনের বিল ও ফি প্রদান করা যাচ্ছে।

এই সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে, অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।