প্রতিটি ঘর আলোকিত করা সরকারের একটি বড় সাফল্য : প্রধানমন্ত্রী

0
157

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে পারা সরকারের একটি বড় সাফল্য।

তিনি আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) সভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে আরও বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য যে আমরা প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে তাঁর সরকার ইতোমধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে। এখন একটাই লক্ষ্য দেশে কোন মানুষ আর গৃহহীণ বা ভূমিহীন থাকবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করেই বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বর্তমান সরকার সচেষ্ট।

তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল (সোমবার) আমরা দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছি।

সরকার প্রধান বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন ধরে সরকার পরিচালনা করায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা এ ধরনের সাফল্যের আরেকটি কারণ।

প্রধানমন্ত্রী বারবার তার দলকে ভোট দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

জনগণের কাছে তাঁর অঙ্গীকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।

বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তাঁর সরকারের বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি প্রদানের প্রসঙ্গ ও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

মেঘনাঘাট ৪৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট বেসরকারি খাতে নির্মিত প্রথম পাওয়ার প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ইউএস-ভিত্তিক এইএস (অ্যালাইড এনার্জি সিস্টেম) প্লান্ট গুলো স্থাপন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ২০০১ সালে তাঁর দল ক্ষমতায় না আসায় পদক্ষেপ গুলো বাস্তবায়ন করা যায় নি।