দাউদকান্দির একজন মানবিক ইউএনও কামরুল ইসলাম খান

0
207

লিটন সরকার বাদল, দাউদকান্দি, কুমিল্লা:

সেবার জন্য সাধারণ মানুষ তার কাছে আসতে হয় না বরং জনসাধারণদের সেবা দিতে তিনিই পৌঁছে যাচ্ছেন জনগণের দুয়ারে। এমনই একজন জনকল্যাণমুখী কর্মকর্তা দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো.কামরুল ইসলাম খান।
তিনি প্রায় দেড় বছর হয় এই উপজেলায় যোগদান করেছেন।

যোগদানের পর থেকেই তার চিন্তা ও চেতনা ছিলো তৃনমূলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কীভাবে সেবা দেওয়া যায় জনগণের দোরগোড়ায় কী করে সেবা পৌঁছে দিতে হয়। সেই ধারনা ও চিন্তা বাস্তবায়ন করে চলছেন যোগদানের পর থেকে আজোবধি। দিনে দিনে তিনি হয়ে উঠেছেন একজন জনপ্রিয় নির্বাহী কর্মকর্তা। এলাকার সাধারণ মানুষের মন মণিকোঠায় ঠাঁই নিয়েছেন তিনি।

তিনি যোগদান এর ছয় মাস পরই বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস আঘাত করে বাংলাদেশে। চৌদিকে এমন ঘনকালো আঁধার করা সৃষ্ট সংকটকালীন সময়ে বিভিন্ন ধকল ও প্রতিকূলতা সামাল দিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে জনগণকে রাত-বিরাতে সেবা দিয়ে এ উপজেলাবাসির আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। সম্মুখ সারির করোনাযোদ্ধা হিসেবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে করোনা রোধে তিনি ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন।

করোনাকালীন সময়ে কর্মহীনদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন খাদ্যসামগ্রী। করোনার সৃষ্ট সংকটে সারা দেশে যখন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি তখন তিনি নিত্য দিন দাউদকান্দি পৌরসভাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক বাজার মনিটরিং করে ভোগ্যপণ্যের লাঘাম টেনে ধরেছেন। অস্থির বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অসাধু ব্যবসায়ীদের সাজা প্রদাণ করতেও পিছপা হন নি। শীতকালীন সময়ে শীতার্তদের মাঝে দিয়েছেন শীতবস্ত্র। বাল্যবিবাহ রোধে তার “জিরো টলারেন্স ” নীতির কারণে এই উপজেলার কোথাও বাল্যবিবাহর ঘটনা ঘটছে না।

মাদক নির্মূলে আইনশৃক্সখলা বাহিনীর পাশাপাশি তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সাধ্য মতো ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন। কিছুদিন আগেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুপক্ষের মাঝে সীমানা বিরোধ ঝামেলা মীমাংসা করে এলাকারবাসির ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

শুক্রবার (১২) মার্চ উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে মীম নামে ষোড়শী এক মেয়ের বাল্য বিবাহ সাধারণ ক্ষমা করে বন্ধ করেন। পরে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা রহিমকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, বিয়ের খরচ বাবদ নগদ ৫ হাজার টাকা ও মীমকে সেলাই মেশিন উপহার দেন। এ বিষয়টিকে স্থানীয়রা ইউএনও’কে একজন “মানবিক হৃদয়ের” কর্মকর্তা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

উপজেলায় সেবা নিতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষের সাথে কথা হলে সকলেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান এর আচার-আচরণে মুগ্ধ বলে জানান,” এমনকি তাকে একজন সেবা পরায়ণ জনবান্ধব অফিসার হিসেবে মূল্যায়ন করেন।”

কথা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কামরুল ইসলাম খান এর সাথে,” তিনি বলেন মানুষকে খুশি করার মতো জাদুর কাঠি আমার হাতে নাই। তবে আমি সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালন সাপেক্ষে আমার অর্পিত দায়িত্ব্যের দৈনন্দিন রুটিনওয়ার্ক করে যাচ্ছি। চেষ্টা করি সাধারণ মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে।”