ড. এ. এম চৌধুরীর রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

0
129

ঢাকা, বাংলাদেশ, ২৭ মে, ২০২২:

বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকাশ বিজ্ঞানী ও দুর্যোগ পূর্বাভাস বিশেষজ্ঞ ড. এ. এম চৌধুরীর ইন্তেকালে তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করে শুক্রবার বাদ আসর বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে মরহুমের বাসভবনে ও অনলাইনে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, এমপি, গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জামাল হায়দার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব জনাব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, ড. হাসিনা বানু এবং তাঁর বড় ছেলে ও এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর জনাব আনীর চৌধুরী স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত বিশেষ এই দোয়া মাহফিলে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এসময় আইসিটি বিভাগ, এটুআই-এর কর্মকর্তাবৃন্দ, মরহুমের আত্মীয়-স্বজন, ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে ২০২২ (বৃহস্পতিবার) বার্ধক্যজনিত কারণে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানী ও দুর্যোগ পূর্বাভাস বিশেষজ্ঞ ড. এ. এম চৌধুরী রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। পরে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাযা শেষে দাফন করা হয়।

বিশিষ্ট এই বিজ্ঞানী রোজ প্যাটেল থিওরির প্রবক্তা। ৭০-এর দশক থেকে তাঁর যুগান্তকারী মডেলগুলোর সাথে ঘূর্ণিঝড়ের ভবিষ্যদ্বাণীতে মূল অবদানের জন্য বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক এই চেয়ারম্যান ১৯৯৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘স্বাধীনতা পদক’ গ্রহণ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় নাসা গ্রুপ অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার অর্জন করেন।

অসামান্য মেধাবী ড. এ. এম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে সে সময়ের শ্রেষ্ঠ রাজা কালী নারায়ণ বৃত্তির অধিকারী ছিলেন। নবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্দুস সালামের সাথে কাজ করেছেন এই গুণীজন। গাণিতিক পদ্ধতিতে দুর্যোগের পূর্বাভাস নিয়ে তিনি দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন।

এই মহাকাশ বিজ্ঞানী ১৯৪০ সালে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার দিনারপুর পরগনার অর্ন্তরভূক্ত কায়স্তর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিত বিষয়ে এমএসসি এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে স্পেস সাইন্স বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ও ১৯৬৯ সালে স্পেস ফিজিক্স বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন।

মৃত্যকালে তিনি ২ ছেলে ১ মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বড় ছেলে আনীর চৌধুরী ডিজিটাল বাংলাদেশের বিনির্মাণে অন্যতম অবদান রাখা এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর হিসেবে কাজ করছেন, মেয়ে ক্যারিনা চৌধুরী স্বপরিবারে আমেরিকায় বসবাস করছেন এবং ছোট ছেলে মৃদুল চৌধুরী এম’পাওয়ার সোশ্যাল-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।