চট্টগ্রাম থেকে ৩ টি জাহাজে করে রোহিঙ্গারা পৌছালো ভাসানচরে

495
1744


চট্টগ্রাম অফিস:

ট্রানজিট পয়েন্ট চট্টগ্রামের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে অস্থায়ী ‘ট্রান্সজিট ক্যাম্পে রাত্রি যাপন শেষে অবশেষে ভাসানচর যাওয়া শুরু করে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে নিয়ে আসা রোহিঙ্গারা।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে তিনটি ঘাট দিয়ে তাদেরকে জাহাজে তুলছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তিনটি ঘাট দিয়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যাত্রা শুরু করে।

আজ শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে এসব রোহিঙ্গাদের জাহাজে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়। আটটি জাহাজে মোট ১ হাজার ৬৪২ জনকে ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে বলে নৌবাহিনী সুত্রে জানাগেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নিতে এসব রোহিঙ্গাদের ২০টি বাসে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। রাতে তাদের রাখা হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ ও ’।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ছেড়ে আসা এসব বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নিয়ে এসেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রথম জাহাজটি চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠ এলাকায় দেখা গেছে, তাবু টাঙিয়ে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।

রাতে তাদের রাখা হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ জেটি ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রান্সজিট ক্যাম্পে।

সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপারসন জেসমিন প্রেমা জানান, শুধুমাত্র আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেয়ার কাজ করছে সরকার এবং ২২টি উন্নয়ন সংস্থা। তাদের স্থানান্তরের জন্য অর্গানাইজড হয়ে কাজ করছে সরকার। এসব রোহিঙ্গা জাহাজে উঠার পূর্বে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি সাপেক্ষে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণের টোকেন ও চাবি হস্তান্তর করা হেয়েছ বলে তিনি জানান।

তিনি জানান, দ্বীপটি বাসস্থানের উপযোগী করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী।