চট্টগ্রামে নিখোঁজের ৪ বছর পর পাহাড়ী এলাকা থেকে যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার

0
281


চট্টগ্রাম অফিস:
চট্টগ্রামে অপহরণের ৪ বছর পর সালাউদ্দিন (৪৫) নামের এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে সিআইডি। সালাউদ্দিন ২০১৬ সালের ১২ জুন নিখোঁজ হয়েছিলেন। তিনি সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের দিঘীরপাড় এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

গতকাল শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সিআইডি চট্টগ্রাম জোন বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। এর আগে বিকাল ৫ টায় জেলার সীতাকুণ্ডের উপজেলার ছোট কুমিরা ইউনিয়নের পাহাড়ের চিপায় ত্রিপুরাপাড়ায় মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।

সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্রোর এসপি শাহনেওয়াজ খালেদ কঙ্কাল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- এটি সালাউদ্দিনের কঙ্কাল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ডিএনএ টেস্টের পর।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ জুন নিখোঁজ হন সালাউদ্দিন। এরপর সালাউদ্দিনের স্ত্রী হাছিনা আকতার বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় দিঘীরপাড় এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীরকে। মামলায় স্বাক্ষী করা হয় কঙ্কালের তথ্য দেয়া মুছাকে। ঘটনার পর পুলিশ আলমগীরকে গ্রেফতার করে। ২০১৭ সালে আলমগীর আদালত থেকে জামিন পান। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। ২০১৮ সালের আগস্টে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় সিআইডি।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামী আলমগীর হোসেন কুমিরা ইউনিয়নের হাম্মাদিয়া মসজিদের দিঘীরপাড় এলাকার নুর আলম মেম্বারের পুত্র। নিহত সালাউদ্দিনের বাড়িও একই এলাকায়।

মামলা বিবরণে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ১২ জুন চা খাওয়ার কথা বলে সালাউদ্দিন ঘর থেকে বের হয়। এরপর সে আর ঘরে ফেরেনি। ওই বছরের ১৮ জুন তার স্ত্রী হাছিনা বেগম বাদি হয়ে গ্রেপ্তার আলমগীরসহ অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় অপহরণের মামলা করেন। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে মামলাটির তদন্তভার পায় সিআইডি।

সিআইডি পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ বলেন, তদন্তে আসামি আলমগীরের নাম ঘুরে ফিরে আসায় তাকে একাধিকবার ধরার চেষ্টা করেছিলেন তারা। তাই তাকে ধরতে প্রেমের ফাঁদ পেতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।

তিনি আরও বলেন, তারা ঘটনাস্থল থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করলেও মাথা উদ্ধার করেছেন অন্তত ৫০০ মিটার দুরে হাম্মাদিয়া মসজিদ কবরস্থান থেকে।

সিআইডি পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ আরও বলেন, তাদের ধারণা স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়ার কারণে সালাউদ্দিনকে খুন করে আলমগীর। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।

সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, সালাউদ্দিনের লাশ উদ্ধারে পুলিশের একাধিক অভিযানে তিনি ছিলেন। ২০১৬ সালে আসামী আলমগীরের ঘরের ভিটি খোঁড়া হয়েছিল। আজ তিনি কঙ্কাল উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।