করোনা পরবর্তীতে এসএমই খাতে আরো ২০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন : ড. আতিউর

7
283

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, করোনা (কোভিড-১৯) পরবর্তী ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এসএমই খাতে আরো ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন।

তিনি মঙ্গলবার বিকেলে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং এফইএস বাংলাদেশ’র উদ্যোগে প্রকাশিত ‘করোনা সংকট-উত্তর ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যত ঃ চ্যালেঞ্জেস ও সুযোগ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের উপর আলোচনাকালে এ মন্তব্য করেন।

এসএমই ফাউন্ডেশন এবং এফইএস বাংলাদেশ আয়োজিত ‘করোনা সংকট-উত্তর ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যত ঃ চ্যালেঞ্জেস ও সুযোগ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।

মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড.আতিউর রহমান মূল আলোচক ছিলেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধের ওপর আরো আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে ইউএনডিপি’র কান্ট্রি অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।

ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ২৫ ভাগ। এই খাতের অবকাঠামো ও ক্লাস্টার উন্নয়নে এসএমই নীতিমালা- ২০১৯ বর্তমান সরকারের একটি কার্যকর উদ্যোগ। সেই সাথে এসএমই পণ্যের বাজার সংযোগের দিকেও নজর দেয়া হয়েছে এই নীতিমালায়।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব শতকরা ৬৬ ভাগ কমেছে এবং পণ্য অবিক্রিত রয়েছে শতকরা ৭৬ ভাগ। এ খাতের ৪২ শতাংশ কর্মী আংশিক বেতন পেয়েছে, ৪ শতাংশ কর্মী বেতনই পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে তিনি এসএমই খাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এই খাতের জন্য আরো অন্ততঃ ২০হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার পরামর্শ দেন।

এছাড়াও, এ অনুষ্ঠানে এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই নীতিমালা-২০১৯’র পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও ক্লাস্টারভিত্তিক এসএমই উন্নয়নসহ মোট ৭ দফা সুপারিশ উত্থাপন করা হয়।

শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি এসএমই বা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা খাত। কোভিড-১৯’র কারণে এ খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার ইতোমধ্যে এসএমই খাতকে প্রণোদনা প্যাকেজ ও নীতি সহায়তা দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় গত অর্থবছর ১০০ কোটি টাকার মতো বিতরণ করা হয়েছে এবং চলতি অর্থবছরে বিতরণের জন্য আরো ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা বিতরণে এসএমই ফাউন্ডেশন সক্ষম হবে বলেও শিল্প সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন। -বাসস