স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে কুষ্ঠ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

0
200

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া জেলার চাঁদ সুলতানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মঙ্গলবার কুষ্ঠ বিষয়ক অবহিতকরণ ও সহায়তা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

দি লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ ও দি লেপ্রসি মিশন- নেদারল্যা-স এর সহোযোগিতায় কর্মশালাটি আয়োজন করে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা।

স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের কুষ্ঠ বিষয়ক অবহিতকরণ এবং কুষ্টিয়া জেলার কুষ্ঠ ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে গঠিত বিভিন্ন স্ব-নির্ভর দল ও সংগঠন বা ফেডারেশনের-এর সদস্যদের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহায়তা করার উদ্দেশ্যেই এই সভার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালার উদ্বোধন করেন মুক্তি নারী ও শিশু উন্ন্য়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী, বীর মুক্তি যোদ্ধা জনাব মমতাজ আরা বেগম।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সম্পা মাহমুদ, দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসরাফুজ্জামান মুকুল, মিরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ ও কুমারখালী উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল হালিম। এছাড়াও কুষ্ঠ ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী পরিচালিত ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জ্ঞানী দলের সদস্য এবং যুবদের সমন্বয়ে গঠিত যুব দলের সদস্যসহ মোট ৩০ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

অংশগ্রহণকারীদের কুষ্ঠ রোগ বিষয়ে সম্যক ধারনা প্রদান করেন মুক্তি নারী ও শিশু উন্ন্য়ন সংস্থার এইপি ও ফ্রি প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জনাব আহসান হাবীব রিপন এবং দি লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুমা পারভীন।

হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সম্পা মাহমুদ বলেন, “এখন কুষ্ঠ রোগে যারা আক্রান্ত হয় তাদের ভয়ের কিছু নেই। সময়মতো চিকিৎসা পেলে কুষ্ঠ রোগ ভালো হয়। আমি অবগত আছি দি লেপ্রসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহায়তায় মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা কুষ্টিয়ায় কুষ্ঠ রোগীদের সেবা প্রদান করছে। আমি যদি কখনও কোনো সন্দেহভাজন কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তি দেখি আমি মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থাকে অবহিত করব। আমাদের সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। তবেই আমরা এ রোগ নির্মুল করতে পারবো। আমি আমার ইউনিয়নের অধীনে যে সকল কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তি আছে তাদের আমার সাধ্যমত সহযোগিতা করার আশ^াস দিচ্ছি।” দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসরাফুজ্জামান মুকুলও কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তিদের যথাসাধ্য সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

মিরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, “কুষ্ঠ আক্রান্ত ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা যে সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সেগুলো সর্ম্পকে আমি অবগত আছি এবং তা প্রশংসাযোগ্য। আমি পূর্বেও আমার উপজেলার অধীনে কুষ্ঠ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত দল পরিদর্শন করেছি এবং মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, ‘‘আমি কুষ্ঠ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের সদস্যদের আমার সাধ্যমতো সহায়তা প্রদান করবো। আমরা সবাই যদি সম্মিলিতভাবে কাজ করে অসহায় মানুষের উন্নয়নে এগিয়ে আসি তবে আমাদের সমাজের সব ধরনের সমস্যার অবসান হবে।”

কুমারখালী উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, “আমি দীর্ঘ সময় ধরে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছি। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই কুষ্ঠের মত অবহেলিত রোগ নিয়ে কাজ করার জন্য। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর  বেকার জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আত্ম-নির্ভরশীল ও দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমি আমার উপজেলায় কুষ্ঠ ও প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সাধ্যমতো সহায়তা প্রদান করবো।”

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তি নারী ও শিশু উন্ন্য়ন সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী জনাব জাহেদুল হক মতিন, এইপি ও ফ্রি প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জনাব আহসান হাবীব রিপন এবং এইপি ও ফ্রি প্রকল্পের কর্মীগণ। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন দি লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুমা পারভীন ও প্রজেক্ট অফিসার জনাব সব্যসাচী সিনহা।