সিরাজগঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় জননন্দিত জননেতা ছিলেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম।

0
308


রা শে দ রে হ মা ন

উত্তরবঙ্গ তথা আগ্রাসী যমুনার করালগ্রাসী ভাঙনে বিধ্বস্ত জনপদের দরদি জননেতা, দুখী জনতার হৃদয়ের স্পন্দন, নদী ভাঙন ঝড় বন্যা প্লাবন মহামারী যেকোনো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যিনি ছুটে যেতেন তিনি আর কেউ নন নদীভাঙা মানুষের ত্রানকর্তা দিশেহারা জনতার জনপ্রিয় জননেতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম।

জীবনের শেষদিন অবধি যিনি প্রমাণ করে গেছেন তিনি সিরাজগঞ্জের মানুষকে কতটা ভালোবাসেন। করোনার মহামারী পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ তখনও থেমে থাকেননি তিনি পরিবারের কাছে মিথ্যা বলে (যদি পরিবারের বাঁধা দেয়) অসুস্থ শরীর নিয়ে ছুটে গেছেন প্রাণপ্রিয় সিরাজগঞ্জের মানুষের পাশে। জীবদ্দশায় যে প্রেম ও ভালোবাসায় মানুষকে আপন করে নিতেন তেমনিভাবে মানবিক প্রয়োজনে তিনি মানবতাকে জয় করে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন। তার এই মহানুভবতা আর মানবিকতার কাছে সিরাজগঞ্জবাসী আজীবন ঋণী।


তদানিন্তন পাবনা জেলার মহকুমা খ্যাত যমুনা বিধৌত সিরাজগঞ্জের কাজিপুরস্থ কুড়িপাড়া গ্রামে ১৯৪৮ সালের ২রা এপ্রিল সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম। পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহাসংগঠকদের অন্যতম এবং তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে মরণের সহচর । মাতা মোসাম্মৎ আমিনা খাতুন। যিনি আমেনা মনসুর হিসেবেই পরিচিত। তিনি একজন গৃহিণী ছিলেন। মোহাম্মদ নাসিম পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর তিনি ঢাকায় এসে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।


বাবা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে বিজয়ী হন। প্রাদেশিক পরিষদের মন্ত্রীও হন। ’৭০-এর নির্বাচনেও তিনি প্রাদেশিক পরিষদের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন পান। দ্রুতই তিনি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় নেতায় পরিণত হন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের অর্থমন্ত্রী ও স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশের যোগাযোগমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি নিজ এলাকার উন্নয়নে ভূমিকার কারণে এখনও এখানকার মানুষের কাছে স্মরণীয়-বরণীয়।


পিতার রাজনীতির হাত ধরে সবার অন্তরে ঠাঁই করে নেন মোহাম্মদ নাসিমও। ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক হাতেখড়ি। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা আন্দোলনের এক সমাবেশে অংশ নিতে পাবনায় এলে তিনি মনসুর আলীর বাড়িতে যান, যেখানে তিনি জানতে পারেন যে মোহাম্মদ নাসিম ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরোধে মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হন এবং পরবর্তীকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগে প্রবেশ। সেই থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের যোদ্ধা। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন মোহাম্মদ নাসিম। ওই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন তিনি। দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া – রূপসা থেকে পাথরিয়া সারা বাংলায় নেতা হয়ে ওঠেন তিনি । এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ ছিল একটি। ২০০২ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে তাকে কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়। এরপর ২০১২ সালের সম্মেলনে তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। এরপর টানা তিন মেয়াদে তিনি এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। রাজনীতির মাঠে যেমন সুবক্তা তেমনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সহযোদ্ধা এবং সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের সিপাহসালার ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম।

: ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম । ২০০৮ সালে ভুয়া মিথ্যা মামলাসংক্রান্ত জটিলতায় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় ছেলে তানভীর শাকিল জয় এমপি নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এবং সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। পরে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার সন্তান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। দাদা এবং বাবার পথ ধরে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন মোহাম্মদ নাসিম এর সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। জাতীয় সংসদে এ তিন প্রজন্মের ভূমিকা ও বক্তব্য নিয়ে একটি বই সম্পাদনা করেন মোহাম্মদ নাসিম। ‘সংসদে তিন প্রজন্ম’ নামের বইয়ে জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, মোহাম্মদ নাসিম এবং মোহাম্মদ নাসিমের সন্তান প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের সংসদের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।

একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়েল দায়িত্ব পালন : শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তাকে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নাসিম একসঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খুন সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন সহ দক্ষিনাঞ্চলের ত্রাস এরশাদ শিকদারকে গ্রেফতার করে সারা বাংলা তথা দক্ষিন এশিয়ায় সুখ্যাতি অর্জন করেন । রাজনৈতিক মামলা জটিলতার কারণে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যক আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি মোহাম্মদ নাসিম। তবে পরের মেয়াদে ২০১৪ সালে নির্বাচিত হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বে পালন করেন।

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্র জীবন থেকেই দেশ ও দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রথম সারিতেই থাকতেন মোহাম্মদ নাসিম। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে রাজনৈতিক কারণে সহ্য করতে হয়েছে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন। বিশেষ করে পাকিস্তানের স্বৈরশাসন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে রাজপথের সক্রিয় ও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তিনি। মোহাম্মদ নাসিম ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর দেশের সব অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্র সৈনিক। মোহাম্মদ নাসিম ৮০-র দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর ৯০-র দশকে এবং ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে তিনি বারবার রাজপথে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী আন্দোলনের কারণে বিভিন্ন সময় নির্যাতন সইতে হয়েছে তাকে। রোষানলের শিকার হয়েছিলেন ১/১১-এর সরকারের সময়েও। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও জাতির পিতার রাজনীতির প্রশ্নে তিনি ছিলেন সব সময়ই আপসহীন। রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ছিলেন। রাজপথে সব সময়ই সক্রিয় থাকা মোহাম্মদ নাসিমের রাজনৈতিক জীবনে অর্জন ও সাফল্য এসেছে অক্লান্ত পরিশ্রম ও কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে। এ দেশের অসংখ্য রাজনৈতিক ঘটনার নায়ক অথবা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মোহাম্মদ নাসিম সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদে বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

জেল-জুলুম : রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে মোহাম্মদ নাসিমকে অনেকবার কারাবন্দি হতে হয়েছে। তাকে কারা অভ্যন্তরে সহ্য করতে হয়েছে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন। এইচএসসি পড়া অবস্থায় ১৯৬৬ সালে প্রথম কারাবরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। সেই সময় পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পিতা এম মনসুর আলীর সঙ্গে কারাগারে যেতে হয় তাকে। ১ বছর পরে তিনি ছাড়া পান। এরপর ১৯৭৫ সালে সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল মোহাম্মদ নাসিমকে। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিযানে আরও অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় অবৈধভাবে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি ভুয়া মামলায় বিশেষ জজ আদালত ২০০৭ সালে মোহাম্মদ নাসিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে ২০১০ সালে উচ্চ আদালত ওই সাজা ও মামলা বাতিল করে দেন। কিন্তু মামলায় সাজা হওয়ার কারণে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি মোহাম্মদ নাসিম।

যত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড : রাজনীতির পাশাপাশি সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সন্তান মোহাম্মদ নাসিম। ঢাকাসহ নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। সিরাজগঞ্জের অবকাঠামো সব বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের হাত ধরে। সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতিতেও তিনি আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোট ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকা ও নিজ নির্বাচনী এলাকায় অসহায় মানুষদের সহায়তা করেছেন।

নিজ এলাকা কাজীপুর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা আধুনিক রেস্ট হাউস ভবন নির্মাণ, ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজীপুর কৃষি অফিসারের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মনসুর নগর, নাটুয়ারপাড়া, তোকানী, নিশ্চিন্তপুর, গান্ধাইল ও চালিতাডাঙ্গায় ১০ শয্যাবিশিষ্ট আমিনা মনসুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ, ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মেঘাই পর্যটনের কাজ, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের (পিডব্লিউডি) তত্ত্বাবধানে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ আসনবিশিষ্ট শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ার নির্মাণ, ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ। স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজীপুর ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ভিজিটরস ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (এফডব্লিউভিটিআই) ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) নির্মাণ। ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গান্ধাইলে ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ভবন নির্মাণ করেন। এছাড়া পাবনা, বগুড়া তথা গোটা উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগিয়েছেন মোহাম্মদ নাসিম। এসব জেলায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য মোহাম্মদ নাসিম সংশ্লিষ্ট আসনের এমপিদের সহযোগিতা করেছেন। আবার প্রকল্প যাতে পান এজন্য উপর মহলে তদবিরও করেছেন। যে কারণে এসব এলাকার অনেকে বলেন, মোহাম্মদ নাসিম উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের রূপকার।
বজ্রদীপ্ত কন্ঠ, ক্যাম্পাস থেকে রাজপথ ভেঙে
শাসন শোষণ উৎপীড়নের স্বৈরতা খসে খসে,
চেতনার পতাকা হাতে পিতা ও পিতা মুজিবের
“স্বপ্ন সোনার’ বাংলার লালিত স্বপ্ন কষে কষে।
একবুক মানচিত্র তোমার- ক্ষুদা দারিদ্র্য মুক্ত বাংলা, বঙ্গকন্যার যোগ্য সিপাহসালার। তুমি অধিকারের মন্ত্রে গাথা স্লোগান,মশাল মিছিল, রাসেলস্ক্য়ার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বুলেটে বেয়নেটে মাখা রক্তাক্ত পথ। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া রূপসা থেকে পাথরিয়া সারা বাংলার জনমত। তুমি একুশ বছরের পিছিয়ে পরা চেতনার ন্যায্য হিসসা।
দিশেহারা দক্ষিনাঞ্চলের ত্রাণকর্তা হে বীর,
তেজস্বী হুঙ্কারে ত্রাসের রাজত্ব ভেঙে করেছিলে চৌচির।
উত্তরবঙ্গ তথা সারা বাংলার জনপ্রিয় জনন্দিত জননেতা- জানে রাজপথ জানে জনতা।
আপামর মেহনতী মানুষের প্রিয় নাসিম ভাই,
স্বমহিমায় চিরঞ্জীব তুমি – তোমার মৃত্যু নাই।

কীর্তিমানের মৃত্যু নাই।