সিরাজগঞ্জে চৌহালীতে দুর্নীতির দায়ে বেতিল কলেজ অধ্যক্ষকে বরখাস্ত

0
283


টি এম কামাল : অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলাধীন বেতিল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চৌহালী বেতিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ পদে আখতারুজ্জামান যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে যুক্ত হন। বিশেষ করে স্কুল অ্যান্ড কলেজের খরচের নামে ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাথে তার অশোভনীয় আচারণ এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করে ম্যানেজিং কমিটি। পরে বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশনে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট অডিট কমিটি গঠন করে গর্ভনিং বডি। ২৩ থেকে ২৬ মে অডিট কার্যক্রম চলে। এতে অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান বিদ্যালয় থেকে ২০ লাখ ১১ হাজার ৪১২ টাকা ও কলেজ শিক্ষকদের বেতন বাবদ এক লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে।

অডিট কমিটির আহŸায়ক ও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ দিকে ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে তিনবার চিঠি ইস্যুসহ তার সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেনি এতে। চিঠিরও কোনো উত্তর দেননি। পরে বিধি মোতাবেক বুধবার ম্যানেজিং কমিটির সভায় সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানানো হয়।
এ বিষয়ে বেতিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আবদুস ছালাম বলেন, অর্থ আত্মসাৎ করে অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের সমস্ত চাবি নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। এতে করোনাকালী অনলাইন ক্লাসসহ দাফতরিক কার্যক্রম বিঘ্ন হচ্ছে। তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া অফিস কক্ষের চাবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি হস্তন্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান বলেন, সাময়িক বরখাস্তের বিয়য়ে শুনেছি। কিন্তু আমি এক টাকার অনিয়ম বা দুর্নীতি করিনি। আমি নতুন করে তদন্ত চাই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফসানা ইয়াসমিন জানান, অভিযোগের বিষয়ে মৌখিক ভাবে জেনেছি। সাময়িক বরখাস্তের কপি এখনো হাতে পাইনি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেরেছি।