সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হক তরফদারের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে একই ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী কালাচাঁন পালের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ এ ঘটনা ঘটায় বলে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ৬ নারীসহ অন্ততঃ ১৫ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভায় গত ৩০ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল হক তরফদার ৪১ ভোট বেশি পেয়ে কালাচান পালকে পরাজিত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর জের ধরে কালাচান পালের সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সোমবার সন্ধ্যার পর শিমলাবাজারস্থ আব্দুল হক তরফদারের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে।
বিজয়ী কাউন্সিলর আব্দুল হক তরফদার অভিযোগ করেন, পরাজিত প্রার্থী কালাচান পালের নেতৃত্বে লাঠিসোঠা নিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুটতরাজ করা হয়।
তিনি আরো জানান, হামলাকারীদের ইটপাটকেল ও লাঠিসোটার আঘাতে ৬ নারীসহ অন্ততঃ ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত
আইরিন আক্তার(৩৬), সোমা আক্তার (৩২), তন্নী আক্তার (৩১), লাকি আক্তার (৪০), পারভিন আক্তার (৩৫), ইতি আক্তার (২০), জনি মিয়াকে (২৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী কালাচান পাল জানান, ঘটনাটি সাজানো। আমি নির্বাচনের পর থেকেই নিজবাসা থেকে বের হইনি। নির্বাচনের দিন ভাড়াটে সন্ত্রাস দিয়ে হক তরফদার একজনকে মারধর করেছে। এটা ঢাকার জন্যই এ নাটক সাজানো হয়েছে।
অপরদিকে এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আরামনগর বাজারে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ফলাফল স্থগিতকৃত ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আরিফুল হক (ব্ল্যাকবোর্ড) ও বদিউজ্জামাল উজ্জ্বলের (ডালিম) লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নিলে ঘণ্টাব্যাপী উত্তেজনা বিরাজ করে।
এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম জানান, দু’টি ঘটনাই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।