যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

6
231

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিল, যাদের আত্মত্যাগে বাঙালি পেয়েছিল ভাষার অধিকার। ফুল আর শ্রদ্ধায় তাদের স্মরণ করছে জাতি।

সোমবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মানুষ বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা দেয়ার পাশাপাশি সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের দাবী জানায়।

মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশের প্রথম প্রহরেই হাজার হাজার মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন। ফুলে ফুলে ভরে উঠে বাঙালির শোক আর অহংকারের এই মিনার। তবে করোনা ভাইরাসের কারনে এই বছর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু বিধি নিষেধ থাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের উপস্থিত কিছুটা কম ছিল।

মহামারীর বাস্তবতায় গত বছরেও মতো এবারও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পর্বটি হয়েছে সীমিত পরিসরে। প্রতি বছর একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২ টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের তরফ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় শ্রদ্ধা জানানোর পর্ব। মহামারীর মধ্যে গতবছরের মত এবারও তাদের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তাদের সামরিক সচিবরা।

রাষ্ট্রপতির পক্ষে ফুল দেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম। আর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট আ্যট আর্মস। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার পক্ষে সহকারী সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস গোলাম শাহরিয়ার তালুকদার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

এরপর তিন বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের পক্ষে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়। তারা কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।