পাহাড়ে কিশোরী, নারী ও মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সমন্বয় জরুরিঃ অংসুই প্রু চৌধুরী

5
265

রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ

কিশোরী নারী ও মাতৃ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত কার্যক্রমকে অতি জরুরী, বলেছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী।

“সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমুহকেও কাজ করতে হবে। সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের মাধ্যমে দুর্গম এলাকায় কাজ করা হলে তবে কিশোরী, নারী ও মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হবে। এ লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে,” তিনি বলেন।

রবিবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি জেলা পরিষদের হল রুমে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত ’আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যত’ প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে এগুলো শুধু শহর কেন্দ্রীক হলে হবে না, দুর্গম এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে কাজ করতে হবে।

প্রকল্পে জনবল নিয়োগ করা হলে স্থানীয়দের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তা করা না হলে প্রকল্পের সফলতা আসবে না।

উল্লেখ্য যে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং সিমাভী নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সহযোগিতায় পার্বত্য ৩ জেলার ১০টি স্থানীয় এনজিও এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সঞ্জয় মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিতীশ চাকমা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক আনোয়ার উল আজিম, সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রূপনা চাকমা।

টংগ্যার নির্বাহী পরিচালক ডা. পরশ খীসার সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা, নারী কার্বারি নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সান্তনা চাকমা, ওয়াগ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিরঞ্জীত তঞ্চঙ্গ্যা, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের প্রোগ্রাম অফিসার এমদাদউল্লাহ, প্রথম আলোর সাংবাদিক সাধন বিকাশ চাকমা প্রমুখ।

এছাড়াও হিল ফ্লাওয়ার পরিচালিত কাপ্তাই উপজেলার ফুলতলা কিশোরী ক্লাবের মেন্টর সাইমাউ মারমা কিশোরী ও মেন্টরদের পক্ষ থেকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সহযোগী সংস্থাগুলির পক্ষে প্রোগ্রেসিভ নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের পক্ষে মাস্টার ট্রেইনার রিমি চাকমা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। উইভের নির্বাহী পরিচালক নাই ইউ প্রু মারমা মেরি প্রকল্পের কার্যক্রম ও অগ্রগতি উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন অনিতা দেব বর্মন, ট্রেইনার, টংগ্যা এবং এপ্পি চাকমা, ট্রেইনার, হিল ফ্লাওয়ার।

সহযোগী সংস্থাগুলি অনুষ্ঠান স্থলে প্রকল্পের কার্যক্রম ৪টি স্টলের মাধ্যমে প্রদর্শনী করে, যা প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা ঘুরে দেখেন।