স্টাফ রিপোর্টার:
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদীতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় স্পীডবোড দূর্ঘটনায় পাচজন নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশ মেরিন কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন পটুয়াখালী নৌ বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান। আজ সকালে তিনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সাগরকুলবর্তি এলাকায় নৌযান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী ছিল বুধবার রাত থেকে। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অসাধু ব্যবসায়ীরা আগুনমুখা নদীতে স্পীডবোড চলাচল অব্যাহত রেখেছিল। তিনি জানান, স্পীডবোডে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী উঠিয়ে প্রচন্ড ঢেউয়ের মধে্য চলাচল করায় দূর্ঘটনা কবলিত হয়। তাছাড়া যাত্রীদের জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামাধি দিতেও ব্যর্থ ছিল বোড চালক। যে কারণে বোড পরিচালনাকারী এবং বোড চালককে সমান অপরাধ করায় তাদেরকে আসামী করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, দ্রুত সময়ে আসামীদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে এই মুহুর্তে তাদের নাম বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
নৌ বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর জানান, নজিরবিহীন শাস্তির আওতায় আনা হবে আসামীদের যা দেখে উপকুলীয় এলাকায় আর কেউ যেন এমন অপরাধ না করে।
এছাড়াও কৃষি ব্যংক পরিদর্শক মৃত্যুর ঘটনায় পটুয়াখালী কৃষি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্পিডবোট চালক ও পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেছে বলে জানাগেছে।
এদিকে, রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ জানিয়েছে, উর্ধতন পুলিশ কর্তাদের সিন্ধান্ত পেলে তারাও পুলিশ কনেন্টবল মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, স্পীডবোড দূর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি পরিবারকে নগত ২০হাজার টাকা এবং ৩০কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার শেষ বিকালে রাঙ্গাবালীর কোড়ালিয়া ঘাট থেকে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত অর্থাৎ ১৮জন যাত্রী নিয়ে পাশের উপজেলা গলাচিপার পানপট্টি ঘাটের উদ্দেশে আসছিল। মাঝপথে খরস্রোতা আগুনমুখা নদীতে প্রচন্ড ঢেইয়ের মধ্যে পড়ে বোডটির তলা ফেটে উল্টে যায়। এর দেড় ঘন্টা পর সাতরে ও মাছ ধরার ট্রলারে মোট ১৩ জন যাত্রী তীরে উঠতে পারলেও পাচজন যাত্রী নিখোজ ছিল। পরে বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালিয়ে ৪৮ ঘন্টা পর আজ ভোরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে।