তাড়াইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিম্নমানের ইট দিয়ে হচ্ছে ড্রেন নির্মাণ 

0
260

মো.সুমন মিয়া, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিম্নমানের ইট দিয়ে  আরসিসি এবং সিসি ড্রেন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষথেকে।

জানা গেছে,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এইচইডি)র অধীনে তাড়াইল উপজেলা ৫০শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রেন নির্মান,বালু ভরাট ও রিপিয়ারিং এর টেন্ডারের বিপরীতে প্রায় সাড়ে ২৮ লক্ষ টাকার কাজ পায় ময়মনসিংহের মেসার্স মারিয়া এন্টারপ্রাইজ।গত ২৭ শে সেপ্টেম্বর  তারিখে কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকেই উক্ত প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। আজ রোববার সকালে সরজমিন  ঘুরে দেখা গেল, চিকিৎসকদের বাসভবনের পিছনে কাঁদামাটিতে ড্রেনের কাজ দ্রুতগতিতে করছে কয়েকজন লেবার।নিম্নমানের ইট সুরকি ও বালু দিয়ে ড্রেনের কাজ করা হচ্ছে।অথচ কার্যাদেশে এক নম্বর সামগ্রীর কথা উল্লেখ থাকলেও কেন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে প্রশ্ন করলে কাজে নিয়োজিত লেবার সর্দার মোতালিব জানান, ঠিকাদার যেসব সামগ্রী দিয়েছেন তা দিয়েই আমরা কাজ করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আলমাছ হোসেন  জানান,আমাদের তদারকি করার কোনও বিধান নাই।তাই নিম্নমানের কাজ করলেও আমাদের কিছুই করার নাই।তবে ঢালাইয়ের সময় একজন ইঞ্জিনিয়ার  উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি না থাকায় কাঁদামাটি সহ পানির মধ্যেই মনগড়া ঢালাইয়ের কাজ করছে লেবারগন।

উক্ত কাজের দেখভালের দায়িত্বে  থাকা জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি)র ইঞ্জিনিয়ার মো. সুমন বলেন, জেলার প্রতিটি উপজেলার কাজ আমাকে একা দেখতে হয়।জনবল না থাকায় আমি ঠিকমত দেখভাল করতে পারছি না।

ওই কার্যাদেশে ৫ লক্ষ টাকার বালু  ভরাট ধরা থাকলেও স্থানীয় একজন বালু ব্যাবসায়ীকে ১ লক্ষ টাকায় বালু ভরাটের  কাজ দেয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী  জানান। এছাড়া এক নম্বর ২০হাজার ইট দিয়ে কাজ করার কথা।অথচ লেবার সর্দার মোতালিব বলেন ৪ হাজার ইট দিয়ে কাজ শেষ করতে বলেছে ঠিকাদার।

এ ব্যাপারে মারিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক আনোয়ার হোসেন আনারের সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও  ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।

এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র  ক্ষোভ বিরাজ করছে।