তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক ডর্‌প যুব ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

0
77

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে সংশোধনের অঙ্গীকার করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) অধিকতর শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ।

এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডর্‌প) এর সহযোগিতায় ডর্‌প যুব ফোরাম “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর বর্তমান পরিস্থিতি” শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

রাজধানীর মিরপুরে ডর্‌প কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। এসময়ে বক্তব্য রাখেন জনাব মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান, উপ-নির্বাহী পরিচালক, ডর্‌প, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আজহার আলী তালুকদার, নির্বাহী উপদেষ্টা, ডর্‌প, এবং জনাব শেখ আহমেদ আনোয়ার, পরিচালক, মাইক্রোফিন্যান্স, ডর্‌প। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তামাকের আগ্রাসন রোধে ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত বক্তব্য রাখেন জনাব রুবিনা ইসলাম, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, ডর্‌প। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈকত কবির শায়ক, মিডিয়া অ্যান্ড এনগেজমেন্ট কোঅর্ডিনেটর, ডর্‌প।

অনুষ্ঠানে ডর্‌প যুব ফোরামের সদস্যরা তামাকের আগ্রাসন প্রতিহত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সংক্রান্ত দলগত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা বিভিন্ন সময়োপযোগী প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশান অন টোব্যাকো
কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত খসড়ায় যে বিষয়গুলো প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা।

ডর্‌প বিগত ১৯৮৭ সাল থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর সাথে জড়িত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রবর্তনকারী সংস্থা হিসাবে সমধিক পরিচিত। এরই ধারাবাহিকতায় ডর্‌প বর্তমানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও তামাক কর বৃদ্ধি বিষয়ে কাজ করছে এবং সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।