গোপালগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতারণা, মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

0
300

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিনিয়োগ ফেরৎ না দেয়া এবং মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ-সম্মেলন করেছেন এস এম ব্রিক্স এর প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন। তিনি শুক্রবার দুপুর ১২ টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের ডুমদিয়া গ্রামে মামা-শ^শুড় বাড়িতে এ সংবাদ-সম্মেলন করেন।

সংবাদ-সম্মেলনে মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ঢাকায় ব্যবসার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। শশুড়কুল বিবেচনায় ডুমদিয়া গ্রামে একটি এতিমখানা ও মাদ্রাসার ব্যয়ভার নিশ্চিত এবং নিজ ব্যবসা পরিচালনার জন্য ২০১৭ সালে আমি উরফি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল গাজীর সঙ্গে এস এম ব্রিক্স নামে ইট-ভাটার অংশীদারী ব্যবসা শুরু করি এবং এক বছর পর একই গ্রামের দাউদুর রহমানের ছেলে মারুফ হোসেনকে ওয়ার্কিং-পার্টনার হিসেবে নিয়োগ দেই।

এরই মধ্যে আমি একাই বিনিয়োগ করি আড়াই কোটি টাকারও বেশি। সে সঙ্গে ২০১৮ সালে সম্পাদিত চুক্তিপত্র অনুযায়ী আমার ৪০%, ইউপি-চেয়ারম্যানের ৪০% এবং মারুফ হোসেনের ২০% অংশীদারিত্ব নির্ধারিত হয়। এরপর তিনটি বছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি তারা চুক্তিপত্রের কোন শর্ত রক্ষা করেননি।

তিনি আরো বলেন, আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একক বিনিয়োগকারী এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও পার্টনার হিসেবে তারা কখনও কোন আলোচনা বা হিসাব-বিবরণী আমাকে দেয়নি। এছাড়াও তারা প্রায় ১৭ জনের কাছ থেকে ইট বিক্রীর জন্য অগ্রীম টাকা (দাদন) নিয়েছেন, যা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক-হিসাবে জমা হয়নি, তাদের ব্যক্তিগত হিসাবে আছে। এসব টাকাও তারা আত্মসাৎ করবে বলে আমি আংশকা করি।

তাদের কাছে বার বার হিসেবপত্র বা লভ্যাংশ চেয়েছি; কিন্তু কোনকিছুই তারা আমলে নেয়নি। বরং আমাকে বাদ দিয়ে এবং এস এম ব্রিক্স এর নাম পরিবর্তন করে নতুন চুক্তিপত্র করে ব্যবসা পরিচালনা করবেন বলে তারা হুমকি দিয়েছেন। নানাভাবে চেষ্টা করে এসবের কোন সুরাহা করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আমি আদালতে শরণাপন্ন হই। অথচ আমারই দেয়া স্বাক্ষরকৃত ব্লাঙ্ক-চেকে নিজেদের মনগড়া টাকার অংক বসিয়ে তারা মামলা করেছে। তাই আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার সঙ্গে চরম প্রতারণার এ বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরতে আমি সংবাদ-সম্মেলনের আয়োজন করেছি।