গোপালগঞ্জে অনাকাঙ্খিত যাচাই-বাছাই থেকে নিস্কৃতির দাবি জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আহ্বান

0
220

গোপালগঞ্জ থেকে মিজানুর রহমান মানিক:

‘আমাদেরকে সরকার প্রদত্ত সার্টিফিকেটগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হোক। লাল বার্তা নীল বার্তা নয়; আমাদের নামে সরকার যে চিঠি পাঠিয়েছিল সেই বার্তা কী ছিল, সেটা দেখলেই সত্যাসত্য প্রমাণিত হবে। এই বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুপথযাত্রী মুক্তিযোদ্ধাগণ যারা এখনও বেঁচে আছি, অনাকাঙ্খিত যাচাই-বাছাইয়ের হাত থেকে নিস্কৃতি দেয়া হোক’ – এমন দাবি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় গোপালগঞ্জে সংবাদ-সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের ১৯ মুক্তিযোদ্ধা।

সংবাদ-সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৯৬ সালে গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে সরকার প্রদত্ত চিঠির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পরিক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শেষে তাদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ হয়। প্রাথমিকভাবে ৩’শ টাকা ভাতা পেতেন; যা এখন ১২ হাজার টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। অথচ জামুকা ও মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলির কারণে ২০০৩ সালে, এরপর ২০০৫ সালে, এরপর ২০১৭ সালে তাদের যাচাই-বাছাই ও গেজেট প্রকাশ হয়েছে। বর্তমানে তারা ভাতাও পাচ্ছেন। তারপরও পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আগামী ৯ জানুয়ারি তাদেরকে ইউএনও অফিসে ডাকা হয়েছে। এভাবে বার বার অনাকাঙ্খিত যাচাই-বাছাইসহ হয়রানীর সম্মুখীন হয়ে তারা এখন বিব্রত ও ক্লান্ত।

মুক্তিযোদ্ধারা আরও জানান, এলাকার এই ১৯ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ইতিমধ্যে ১১ জন মারা গিয়েছেন। জীবিত ৮ জনের ২ জন অসুস্থ অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন। অনেকে বয়সের ভারে ন্যুজ বা রোগ-শোকে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতি বিভ্রম হয়েছে। এমতাবস্থায় নতুন করে যাচাই-বাছাইয়ের সময় সহযোগী তিনজন জীবিত মুক্তিযোদ্ধা হাজির করার যে শর্ত দেয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত কঠিন। তাই এধরণের অনাকাঙ্খিত যাচাই-বাছাইয়ের হাত থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার দাবি জানিয়ে তারা এ সংবাদ-সম্মেলন আয়োজন করেছেন।

আয়োজিত সংবাদ-সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল)। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম ফকির, মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম মোল্যা, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মৃধা, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ ও মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি জাকির হোসেনসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।