গহিরা সৈকতে ট্রাকে করে বালু লুট, টেলিফোনে সাংবাদিককে হুমকি

0
256

সুমন শাহ, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার গহিরা সমুদ্রসৈকত থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী কয়েকটি চক্র। প্রশাসন নজরদারি বাড়ালে তারা সাময়িকভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখে। কিন্তু কিছুদিন পর আবার বালু তোলা শুরু করে। এতে যেমন সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, তেমনি সৈকতও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

এদিকে, বালু তোলার সাথে জড়িত লোকজন আনোয়ারার এক সাংবাদিককে টেলিফোনে হুমকি দিয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, দীঘদিন ধরে আনোয়ারা উপজেলার গহিরা সমুদ্র সৈকত থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একটি চক্র। তারা এসব বালু বিক্রি করছে। আর এর পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী কয়েকটি চক্র। প্রশাসন নজরদারি করলে বালু উত্তোলন কয়েকদিন বন্ধ রাখা হলেও  কিছুদিন পর আবার বালু তোলা শুরু করে। এতে যেমন সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, তেমনি সৈকতও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। যেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, সেখান থেকে ৫০০ মিটার দক্ষিণে সৈকত-সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন সোমবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, গহিরা বাইঘ্যার ঘাট এলাকাসংলগ্ন সৈকত থেকে বালু কেটে মিনি ট্রাকে তুলছেন ৭-৮ জন শ্রমিক। অন্তত ১৫ ফুট জায়গায় গর্ত করে বালু তোলা হয়েছে। বালু ভর্তি একটি মিনি ট্রাক লোকালয়ে ঢুকতেও দেখা গিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে এই এলাকার ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে সৈকতের বালুর চর দিয়ে। কিন্তু অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে চরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে গাড়ি চলাচলেও বিঘœ ঘটে।

বালু তোলার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা বলেন, আমরা বালু গুলো সাবেক ইউপি সদস্য ছালে আহমদ ও আবদুর রহিম সওদাগরের জন্য তুলছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, গহিরা সৈকতের এ অংশ এমনিতেই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে এ অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিসি ব্লকসহ বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যেই এখান থেকে মাঝে মাঝে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রভাবশালী কয়েকটি চক্র নিজেদের প্রয়োজনে যখন খুশি সৈকত থেকে বালু কেটে নিয়ে যায়।

বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় ছালে আহমদ বলেন, বেশি বালু নয়, মাত্র দুই ট্রাক বালু তুলছি। আমাদের একটি মসজিদের কাজে ব্যবহার করার জন্য।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, যারা সৈকত থেকে বালু তোলে নিয়ে যাচ্ছে,তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।