করোনায় একদিনে আরও শনাক্ত ৫০৪৫ জন

430
1452

দিডেইলিনিউসানঃ

করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল আটটা থেকে মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত) নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে সংক্রমিত আরও ৫০৪৫ জন।

এছাড়া করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে । মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গতকাল সোমবারও দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর করোনায় সংক্রমিত ৫ হাজার ১৮১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল গতকাল।

এর আগে গত বছরের ২ জুলাই করোনায় সংক্রমিত ৪ হাজার ১৯ জন রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৫ হাজার ৯৩৭ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৯৯৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৪০ হাজার ১৮০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ হাজার ৬২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চূড়ায় (পিক) উঠেছিল গত বছরের জুন-জুলাই মাসে।

ওই সময়ে, বিশেষ করে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার রোগী শনাক্ত হতো। বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকার পর এক মাসের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।

এর মধ্যে ছয় দিন ধরে সাড়ে তিন হাজারের বেশি রোগী (প্রতিদিন) শনাক্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরেকটি চূড়ার (পিক) দিকে যাচ্ছে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।

দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল।

মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে গত পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।