উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-ডাক্তারের গাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ষ্টিকার !

0
249

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে

ডা. জাহানে ফেরদৌস বিনতে রহমান সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী বিভাগে জুনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। ঢাকায় অবস্থান করলেও কর্মস্থলে অফিস করেন প্রাইভেটকার নিয়ে। তার ব্যবহ্নত গাড়ীটিতে (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪-৯৬৯৪) ডাক্তারের ষ্টিকার ব্যবহার না করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ( বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) মনোগ্রামযুক্ত ষ্টিকার ব্যবহার করছেন। ডাক্তারীর মতো মহৎ পেশাকে পাশ কাটিয়ে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ষ্টিকার ব্যবহার ধোঁকাবাজির সামিল বলে অনেকে কানাঘুষা করছেন।
জানা গেছে, ডা. জাহানে ফেরদৌস বিনতে রহমান ২০১৮ সালের এপ্রিলে সিংগাইর উপজেলা কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তার ব্যবহ্নত গাড়িটির সামনে ও পেছনের গ্লাসে কখনো বিনিয়োগ বোর্ড আবার কখনো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ষ্টিকার ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তবে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, ডা. জাহানে ফেরদৌসের স্বামী একজন সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। সে সুবাদে তিনি ডাক্তারের ষ্টিকার ব্যবহার না করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ষ্টিকার ব্যবহার করছেন। এতে গাড়ি নিয়ে চলাফেরায় পাচ্ছেন বাড়তি সুবিধা ।
গাড়ি চালক মেহেদী হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ গাড়িটিতেই ডাক্তার জাহানে ফেরদৌস ম্যাডাম অফিসে আসা-যাওয়া করেন।
ডা. জাহানে ফেরদৌস বিনতে রহমান বলেন, আমার স্বামী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডেপুটি কমিশনার । সরকারি লোনে গাড়িটি তিনি কিনেছেন । তার গাড়ি তো আমি ব্যবহার করতেই পারি। এটা কোন বড় অপরাধ নয়। এ ছাড়া করোনাকালীন সময়ে ডাক্তারের ষ্টিকার সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি বিধায় এ ষ্টিকারেই চলছে ।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারহানা কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। গাড়িটি যিনি ব্যবহার করছেন, কিভাবে করছেন, প্রশ্নটি তাকে করলে ভালো হয়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক এক মেম্বার বলেন, গাড়িটি ডাক্তার বা তার পরিবারের অন্য কারো হলেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ষ্টিকার ব্যবহার করে কর্মস্থল হাসপাতালে যাতায়াত করতে পারেন না। এটা অন্যায়।