‘আশ্রয়নের বাতিঘর’ পাঠাগারে বই দিলেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক

0
254

গোপালগঞ্জ থেকে মিজানুর রহমান মানিকঃ

মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ‘‘আশ্রয়নের বাতিঘর” এর আলোকিত মানুষ গড়ার প্রয়াসে নির্মিত পাঠাগারে বই দিলেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।

মঙ্গলবার কোটালিপাড়া উপজেলাধীন রাধাগঞ্চ ইউনিয়নের দেবগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্প ‘‘আশ্রয়নের বাতিঘর” পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। এসময় তিনি বাসিন্দাদের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে কি ধরনের দক্ষতা আছে সেগুলোর খুটিনাটি জিজ্ঞাসা করে বের করেন তিনি।

যার যার দক্ষতানুযায়ী আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে আশ্রয়ন প্রকল্পের লোকদের নিয়োজিত করতে সংশ্লিষ্টদেরকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন তিনি। পাশাপাশি বাসিন্দাদের ছেলে-মেয়েদেরকে পড়াশুনা করানোরও পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক।

কোটালিপাড়ার ইউএনও এসএম মাহফুজুর রহমানের সৃজনশীলতা ও উদ্যোগে নির্মিত উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের দেবগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্প পরিনত হয়েছে ‘‘আশ্রয়নের বাতিঘর” হিসেবে। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে, খালপাড়ে অবস্থিত এ আশ্রয়ন প্রকল্পে মোট ৩০টি পরিবার বসবাস করছে।

আশ্রয়নের বাতিঘরে কি নেই! বাসিন্দাদের ছেলে-মেয়েদের আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে স্থাপন করা হয়েছে পরিপাটি একটি পাঠাগার, সুস্থ্য বিনোদন অনুশীলন ও উপভোগের জন্য অনুষ্ঠান মঞ্চ, খালপাড়ে বেশ কয়েকটি পাকা বেঞ্চ বসানো হয়েছে, যেখানে আশ্রয়নের বাসিন্দারা বিকেল বেলায় দারুন সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে, শিশুদের জন্য মিনি পার্ক, বিশুদ্ধ পানি প্রভৃতি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। এছাড়াও প্রতিটি পরিবারের বাড়তি আয়ের পথ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: উসমান গণি, ইউএনও এসএম মাহফুজুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: রাশেদুর রহমান সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘‘যে মানুষটাকে আমরা বাইরে থেকে এনে একটা জায়গায় আশ্রয়নের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, সেখানে তার উন্নত জীবনের ব্যবস্থাও আমাদের করতে হবে। আয় বর্ধণ, বাচ্চাদের জন্য পাঠাগার, মানুষের সুস্থ্য বিনোদন, সুন্দর পরিবেশ, বিশুদ্ধ পানি – উন্নত জীবনের এসকল সূচক মাথায় রেখেই আমরা দেবগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্পটিকে সাজানোর চেষ্টা করেছি, শুধু দেবগ্রাম নয়, জেলার সবগুলো আশ্রয়ন প্রকল্পকেই দেবগ্রামের মতো সাজাতে চাই আমরা।’’