আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ যায়নি কারা?

0
73

– ২০১৯ সালে কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো ভাই রাউল কাস্ত্রোকে আমেরিকা মানবাধিকার লংঘনের জন্য নিষিদ্ধ করে।

– সার্বিয়ার বিখ্যাত টেনিস তারকা নোভাক ডিজেকোভিককে আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় কোভিড ভ্যস্কিন বিধি ভঙ্গের জন্য।

– দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যন্ডেলাও বাদ যাননি আমেরিকা প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থেকে। এই ২০০৮ সালে নেলসন ম্যান্ডেলাকে আমেরিকা সন্ত্রাসি আখ্যা দেয়। দীর্ঘ কারাবাসের পর ৭১ বছর বয়সে ম্যান্ডেলা ১৯৯০ সালে কারামুক্ত হন। ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।

– আমাদের প্রিয় ম্যারাডোনাও ছিলেন আমেরিকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা পাওয়াদের তালিকায়। তাকে ২০১৩ সালে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতার তকমা দেয় আমেরিকার সরকার।

– নোবেল বিজয়ী লেখক গাব্রিয়েল গার্সিকা মার্কেজ যিনি তার ‘লাভ ইন দা টাইম অফ কলেরা’ উপন্যাসের কারণে আমার মনে দাগ কেটেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। কলম্বিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির সাথে তার সংশ্লিষ্টতা ্এবং ফিদেল কাস্ত্রোর সাথে তার ভালো সম্পর্কের কারণে আমেরিকা সরকার তাকে আমেরিকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

– প্রতিবেশি দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাকে বাইডেন সাহেব পারলে পায়ে তেল মালিশ কওে, তাকেই আমেরিকা সরকার ২০০৫ সালে দেশটিতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেয়। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ২০০২ সালে গুজরাট রায়োটে তার সংশ্লিষ্টতার জন্য। পরে অবশ্য ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাকে সেই দায় থেকে মুক্ত করে। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাথে সাথেই কিন্তু আমেরিকা তাকে তার ডিপ্লোমেটিক স্ট্যাটাস পরিবর্তনের জন্য সেই বিধিনিষেধ বাতিল করে ২০১৪ সালে।

– আমেররিকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আরো শত শত লোক আছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই খেলোয়াড়, সংগীত শিল্পী, মিলিটারী কর্মকর্তা, কমেডিয়ান আছে, আবার রাজনীতিবিদও আছে।

ইন্টারনেট ঘাটলেই এই খবর পাওয়া যায়। আর আমাদের নির্বাচনকে সুষ্ঠ করার নামে এই এশিয় অঞ্চলে ভূরাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের আশায় নতুন কাহিনী শুরু করেছে আমেরিকা।

এই প্রজন্মের জানা উচিত, ১৯৭২ সালে আমেরিকার নিক্সন সরকার পাকিস্তানের পক্ষে বঙ্গোপসাগরে তাদের সপ্তম নৌবহর মোতায়েন করেছিলো।

২০১৮ সালোর নির্বাচনের মতন নির্বাচন আমিও চাইনা। যেখানে একেক জন ১০ টা ২০ টা ৫০ টা ভোট দিয়েছিলো। কিন্তু সেই নির্বাচন এরকম হওয়ার পেছনে অথর্ব নাশকতা করা বিরোধীদলের দায়ওতো কমনা। দেশের সমস্যা দেশেই সমাধান জরুরী।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশে এসে শেখ হাসিনা হাল ধরেন আওয়ামী লীগের। তারপর ৪ দশকে ১৯ বার হত্যাচেষ্টা করা হয় তাকে। সর্বশেষ ২১ আগষ্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হত্যার পেছনের কুশিলবদের কিন্তু আমেরিকা তাদের দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় নাই। বরং দুধকলা দিয়ে পুষেছে।

এই লেখার উদ্দেশ্য কি?

আমার কাছে আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়টা বাংলাদেশি  হিসাবে অত্যন্ত লজ্জ্বাজনক, অপমানজনক মনে হয়েছে। তবে তাদের উদ্দেশ্যটার একটা ভালো যুক্তি আছে। একটি অবাধ, শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠ নির্বাচন। এটি এখন সকলেরই দাবী। এখন এই দাবীর সফলতা আসবে যখন সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তখন। নির্বাচন ভালো কি মন্দ হলো তা দেখবে ও বলবে জনগণ ও সংবাদমাধ্যম। ২০১৪ আর ১৮ এর মতন কেউ সহিংসতা

করলে জনগণই তাদের প্রতিহত করবে। এই নির্বাচনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের একটা বিরাট প্রভাব ফেলবে। এই সরকারের উচিত জিনিস পত্রের দাম কমানের কঠো পদক্ষেপ নেয়া। কে ভিসা নিষেধাজ্ঞা করলো কি উইদড্র করলো সেটা বড় বিষয় নয়। জনগণই যেহেতু সকল ক্ষমতার উৎস সেহেতু ক্ষমতাবানদের জনগণের ভালোমন্দটাই দেখা দরকার আগে। বিরোধী দল ঠেকানোর কাজ জনগণই করবে। 

আসল কাম না কইরা নকল কাম করলে জনগণই বিরোধী দল হবে। তথন জনগণকে ঠেকানো যাবেনা। 

-রতন মালো, ফ্রিল্যন্স লেখক ও উন্নয়ন কর্মী!