কামরাঙ্গিচরে ঝড়ে পড়া ৫০ শিশু অংশ নিলো জমকালো গ্রেজুয়েশন অনুষ্ঠানে

0
178

ঝড়ে পড়া শিশুদের দক্ষতা উন্নয়ন করে স্বাবলম্বী করতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

ঢাকা, ৩১ জানুয়ারী, মঙ্গলবারঃ
ঢাকাস্থ কামরাঙ্গিচরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন ঝড়ে পড়া শিশুদের দক্ষতা উন্নয়নে করে তাদের সাবলম্বী করতে আন্তর্জাতিক শিশু উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ গত মঙ্গলবার জীবন দক্ষতা এবং কারিগরি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৫০ জনের জন্য এক বর্ণাঢ্য গ্রেজুয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রতিষ্ঠানের ‘আরবান প্রোগ্রাম’ কর্তৃক পরিচালিত ক্লিয়ার প্রজেক্টের আওতায় এই আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নুরে আলম চৌধুরি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর-৫৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলদেশের জাপানি ডোনার সানব্রুশ কোম্পানির প্রেসিডেন্ট মি: হিসাটুসি কোবায়েশী এবং জনাব শেখ নওশের আলী, থানা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, ধানমন্ডি ইউনিট থানা।

প্রধান অতিরি বক্তব্যে নুরে আলম চৌধুরি বলেন- “ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শিশু ও পরিবারের জন্য শিশু অধিকার, শিশু শ্রমসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সভা ও ক্যাম্পেইন আয়োজন করে থাকে, আরো বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশু শ্রম ও শিশু শ্রমিকদের বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষন যেমন সেলাই, ড্রাইভিং, রন্ধন প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে যা শিশুদেরকে ঝুকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখে।”

তিনি আরো বলেন, “আজকের এই দিনে আমি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশকে আমার ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।্আমি আরো ধন্যবাদ জানাতে চাই সুদুর জাপান থেকে আগত সানব্রুশ কোম্পানির প্রেসিডেন্টকে যিনি আমাদের এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যানে আর্থিক সহায়তা করে চলছে।”

সানব্রুশ কোম্পানির প্রেসিডেন্ট মি: হিসাটুসি কোবায়েশী উনার বক্তব্যে বলেন- “আজকে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পেরে। এই সুন্দর আয়োজন এবং শিশুদের মুখের হাসি দেখে মনে হচ্ছে আমার মাধ্যমে সত্যি কিছু সমাজের পিছিয়ে পরা ু মানুষের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আমি ধন্যবাদ জানাই ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশকে সময় উপযোগি উদ্যেগ গ্রহন করার জন্য।”

অপরদিকে জনাব শেখ নওশের আলী, থানা যুব উন্নয়ন কর্মকতা উনার বক্তব্যে বলেন- ”ইতিমধ্যে আমাদের সাথে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ একসাথে কাজ করছেন। আমরা প্রায় ২০০ জন ব্যাক্তিকে প্রশিক্ষন দিয়েছি, এদের মধ্যে ৭৫ জন চাকুরি ও আত্মকর্মসংস্থানে যুক্ত হয়েছেন। চলতি মাসে ৩০ জন সমাজের পিছিয়ে পরা যুবক-যুবতীর মধ্যে প্রশিক্ষনের চলমান আছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ মানব উন্নয়নের জন্য সমাজের পিছিয়ে পরা যুবক যুবতীদের নিয়ে চমৎকার কাজ করছে, অনেক ধন্যবাদ সরকারের সাথে কাজ করে যাওয়ার জন্য। প্রোগ্রাম শেষে অতিথিগন ২৫ জন কারিগরি প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।”

এছাড়াও এই প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অপারেশন ডিরেক্টর লিমা হান্না দারিং, আরবান প্রোগ্রাম ম্যানেজার যোয়ান্না ডি রোজারিও, সিইএস পি কো-অডিনেটর, হাজারিবাগ আরবান প্রোগ্রাম রনেট লিও গমেজ।