সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জুয়ার আসরে সংঘর্ষে ৩ জুয়ারি যমুনা নদীতে নিখোঁজ হওয়ায় দুই পুলিশ সদস্য ক্লোজড করেছে পুলিশ সুপারের কার্যালয়। আজ শনিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ -পরিদর্শক মো. ইউনুস আলী ও কনস্টেবল মনির উদ্দিনকে জামালপুর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মো. ফজলুল করীম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিখোঁজ জুয়ারিরা হলো- সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু (৪০), পার্শবর্তী টাঙ্গাইলের গোপালপুুর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মৃত জমসের খাঁনের ছেলে হাফিজুর রহমান খাঁন (৪৫) ও ভুয়াপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের ফজল মিয়া (৪০)।
এছাড়া আহতদের মধ্যে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা নরপাড়া গ্রামের বাহেছ আকন্দের ছেলে আব্দুল মান্নান সরকারকে (৫২) গুরুতর জখম অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিখোঁজ তিন জুয়ারির পরিবার পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়েরি করে।
ঘটনার প্রায় ৩৬ ঘন্টা পর জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শনিবার সকাল থেকে দিনভর ঘটনাস্থল ও পাশর্^বর্তী স্থানগুলোতে অভিযান চালায়। তবে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের বালিয়ামেন্দা গ্রামের সোহেল মিয়া (৩৫) ও টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার চর রামাইল গ্রামের সজিব (৩৫)।
এদিকে জুয়ায় আসর সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দুই পুলিশকে শনিবার সন্ধ্যায় জামালপুর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন— তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই ইউনুস আলী ও কনস্টেবল মনির উদ্দিন।
এ ব্যাপারে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিক বলেন, ‘জুয়ার আসর চালানো নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের সন্ধান পেতে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
তবে দুই পুলিশ প্রত্যাহার জুয়া সংক্রান্ত কারণ হিসেবে স্বীকার না করলেও বিষয়টি প্রত্যাহারের নিশ্চিত করে তিনি জানান, কর্মস্থল পরিবর্তন পুলিশের নিয়মিত বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ।