জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার রেখিরপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বসতবাড়িতে লুটতরাজ, ৫ শতাধিক গাছ ও পুকুরের মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
রেখিরপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের অভিযোগ, বসতবাড়ির ২৬ শতাংশ জমি নিয়ে তার সাথে স্থানীয় আক্রাম হোসেনের বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মঙ্গলবার দিনভর ওই বাড়িতে হামলা চালায়। কামরুজ্জামান তার লোকজন দিয়ে বসতবাড়ি, পুকুরের মাছ লুট ও ৫ শতাধিক বিভিন্ন ধরনের কাছ কেটে নিয়েছেন। এ সময় কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে ক্রস ফায়ারে দেয়াসহ নানা ধরনের হুমকী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হামলার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ী এবং তার লাইসেন্সকৃত শটগান ব্যবহার করেছেন। দিনভর লুটপাট শেষে রাতে সেখানে ৫ শতাধিক লোক নিয়ে ভোনা খিচুরি খেয়ে উল্লাশ করেছেন।
ভুক্তভোগী জামাল উদ্দিনের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন ঘটনার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তবে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান টেলিফোনে জানান, বিরোধি জমি নিয়ে আক্রাম হোসেনের পক্ষে আদালতের রায় রয়েছে। তিনি এ নিয়ে সালিশ বৈঠক করেছেন। বৈঠকের সভাপতি হিসেবে তিনি ঘটনাস্থলে দেখতে যান। থানায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাছ কাটা হয়েছে। কাউকে হুমকী দেওয়ার ঘটনা সঠিক না।