বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য, ম্যুরাল ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিরাপত্তায় খুলনায় তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার

0
239


নিজস্ব প্রতিবেদক
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার পর খুলনা মহানগরী ও জেলায় স্থাপিত ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মারক স্থাপনাসমূহে নিরবছিন্ন তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোর করা হয়েছে। খুলনা মহানগরীতে ১৭টি ও জেলার নয়টি উপজেলায় ১২টি নির্মিত ভাস্কর্য, মুর‌্যাল ও প্রতিকৃতি এবং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সুরক্ষায় পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন উর্দ্ধতন কর্মকতারা।
এদিকে, দেশের যেসব জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে, সে ম্যুরালগুলোর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ নির্মাণাধীন ম্যুরালেরও নিরাপত্তা দেয়ার পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এরআগে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করায় মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করেন আদালত।

কেএমপি’র বিশেষ শাখার সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র, খুলনা জেলা পরিষদসহ মহানগরীর ১৭টি স্থানে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্য, ম্যুরাল ও স্মারকস্থাপনায় দিনের ২৪ ঘন্টায় নিরবিচ্ছন্ন তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এসব স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন, সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ একত্রে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম শফিউল্লাহ্ বলেছেন, খুলনার নয় উপজেলায় ৯টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, কয়রা, দাকোপ ও রূপসায় তিনটি ভাস্কর্য নিলে ১২টি স্থানে জাতির জনকের ভাস্কর্য, মুর‌্যাল ও প্রতিকৃতি রয়েছে। এসব স্থানে পুলিশ, সাদা পোশাকে ও গোয়েন্দা পুলিশের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে একটি করে টীম গঠন করা হয়েছে। ২৪ঘন্টা এসব টীম পর্যায়ক্রমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এছাড়া জেলা পুলিশ ওইসব টীমে সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছি।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, মুর‌্যাল ও প্রতিকৃতি রক্ষায় স্থানের গুরুত্ব বুঝে এসব স্থাপনার নিরাপত্তায় তিন থেকে পাঁচজন পোশাকধারী পুলিশ সদস্য রয়েছে। খুলনাতে ভাস্কর্য বা মুর‌্যালে হামলা হতে পারে এমন কোনো তথ্য এখনও নেই। তারপরও বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখছে না পুলিশ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, জাতিরপিতার ভাস্কর্য, মুর‌্যাল ও প্রতিকৃতি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। কোনধরণের নাশকতার শঙ্কা আছে কি না, বিষয়েও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।#

LEAVE A REPLY