পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী শহরের মুসলিমপাড়া এলাকায় (মোঃ শাহিন মিয়া) র বাসা থেকে বুধবার সন্ধ্যায় প্রেমিক তানভির রহমানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত লাশটি পোষ্টমর্টেমের জন্য পটুয়াখালীর ২৫০শয্যাবিশিস্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মৃত তানভির রহমান পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই এলাকার মোঃ নুরুল হক মাষ্টারের ছেলে। এ ঘটনায় ওই বাসার মালিক ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানা হেফাজতে নিয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) আকতার মোর্শেদ জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে তানভির রহমানের সাথে পটুয়াখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বিষয়টি ঘনিষ্টতার সুবাদে প্রেমিক~ প্রেমিকার উভয়ের পরিবারের মধ্যে প্রকাশ পায়। এই সুযোগে তানভির রহমান প্রায়ই প্রেমিকার বাসায় আসা যাওয়া করতো এমনকি প্রেমিকার ঘরেই রাত যাপনও করতো প্রেমিক তানভির~প্রেমিকার মায়ের বরাদ দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসি আকতার মোর্শেদ। তিনি জানান, বরাবরের মত মঙ্গলবার বিকালে তানভির রহমান তার প্রেমিকার বাসায় আসে। রাতের খাওয়া সেরে ঘরের দোতলায় প্রেমিকার রুমে ঘুমাতে যায় আর প্রেমিকা তার মায়ের সাথে নীচে ঘুমায়। প্রেমিকার বরাদ দিয়ে ওসি আকতার মোর্শেদ জানান, রাত ১২টা থেকে তারা দুইজন মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জারে কথোপকতন শুরু করে। রাত সোয়া তিনটার সময় তানভির রহমান প্রেমিকাকে উপরে আসতে বলে। এ সময় দৈহিক সম্পর্কের চাহিদা মিটাতে অনুরোধ করেন প্রেমিকাকে। এক পর্যায় পৌনে চারটার দিকে তানভির ম্যাসেস দেয়~”তুমি উপরে না আসলে আমি কিন্তু আত্মহত্যা করবো।” জবাবে প্রেমিকা বলছে~বড় ভাই এখনও সজাগ আমি যেতে পারবোনা। তুমি মরলে মরো।” দুই জনের জব্দকৃত মোবাইল ফোন থেকে সবশেষ এই ম্যাসেস পেয়েছে পুলিশ। ওসি জানান, বুধবার দুপুরে প্রেমিকার বাবা দোতলায় গিয়ে তানভিরকে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলতে দেখে ভয়ে পুরো বিষয়টি গোপন রাখে বিকাল পর্যন্ত। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে তানভির রহমানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ওসি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার সিন্টম পরিলক্ষিত হলেও পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলা যাচ্ছেনা। তাছাড়া মৃত তানভির রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকেও কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
#