অলিভছায়া
______________________
যে ছায়াপত্র ছিঁড়ে গেছে __ধীরে___ধীরে ; হারিয়ে গেছে ভীড়ে পঞ্চমীর চাঁদ__তাকে পেয়েছে পুনরায় কোমলগান্ধার! জলের হাওয়ায় উড়ে যায় সুদীর্ঘ চক্রবাক ; ট্যাংগন থেকে পুনর্ভবা – সানন্দে আটখানা গোপীতলার রোদফুল! সে উজ্জ্বল – আরো উজ্জ্বল ; স্বচ্ছ আয়নার মতো চকচকে তার জলের শরীর! কোথাও কোনো বাঁক নেই – ভাঁজ নেই!
***
যে কোমল লতা বেয়ে নেমে গেছে শরতের শিশির নিঃশব্দে – ইশারায় ____
শ্লথশীল রথে ; রাত্রির পোশাক গায়ে জোনাকিও গেয়ে গেছে কোমলডাঙার গান, ধ্যান ও ধানের ঋণে জলসংগীত বেজেছে অলিভছায়ার মগ্নমায়ার পাশে!
অলিভছায়া ; এক মোহন বাঁশি। দহন বিষ জলে ঢেলে সে এক দারুণ ধ্বনি!
***
এইসব মাত্র ফুলের শ্লোগান। ঝরে ঝরে যাচ্ছে রাত্রির পালক ; ভোরের কুসুম ফুটে উঠলে চেয়ে দেখি ক্রমাগত ফুল এগিয়ে আসছে মৃদু কলরবের দিকে! যাত্রারম্ভের পূর্বে আঙ্গুল চিনে নিচ্ছে আরেক আঙ্গুল; উভয়ই মুখস্থ করছে ঢালা ঢালা পথ!
***
অলিভছায়ার ভেতর আরেক ছায়া
আরেক ছায়ার ভেতর অলিভছায়া ;
সুরবল্লির উঠোন ছাড়িয়ে মিশে যাচ্ছে নদীর বাঁকে-সর্ষে ক্ষেতে! দ্বি-স্বর মিলে গিয়ে দুধস্বরে তুলতুলে হয়ে উঠছে আকাশের পাহাড়।
***
একই কল্লোলে স্পষ্ট দুধস্বর। নদী কিংবা সমুদ্রের বুকে উদযাপন হয় রাত। এই রাত আরো সহস্র বছর আগে ডুমুরবৃক্ষের তলায় দেখেছিলাম। চেয়েছিলাম এক ডাহুকী কোমল দৃশ্যাবলি ছেড়ে নেমে আসুক আলোকলতার শরীর বেয়ে!