গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের অংশগ্রহণমূলক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এ পরিকল্পনা সভার আয়োজন করে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষাও আইসিটি) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালকের দায়িত্বে থাকা মোঃ ইলিয়াছুর রহমান এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাসসহ জেলার সরকারি-বেসরকারী কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। সঞ্চালনায় ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর মহিতোষ কুমার রায়।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, গ্রাম আদালতে অল্প খরচে, স্বল্প সময়ে এবং অতি সহজে বিরোধ ও বিবাদ নিস্পত্তির সুযোগ রয়েছে। গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত যেকোনো ধরনের বিবাদ মিমাংসার জন্য আদালতে না গিয়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে মিমাংসা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সদর উপজেলাধীন মেরী গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে তিথী মণি জানান, তিনি গ্রাম আদালতের মাধ্যমে জমি বন্ধক নেয়া সংক্রান্ত একটি বিবাদের মিমাংসা পান ৩০ দিনের মধ্যে, এজন্য তাকে আদালতের দারস্থ হতে হয়নি।
সভার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষাও আইসিটি) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালকের দায়িত্বে থাকা মোঃ ইলিয়াছুর রহমান বলেন, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সমূহ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দরকার, আমাদের প্রত্যেককে যার যার জায়গা থেকে এ ব্যাপারে আমরা ভূমিকা রাখতে পারি। যেকোনো অনুষ্ঠানে আমরা নির্ধারিত বিষয়ের পাশাপাশি গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের বিষয়টি তুলে ধরলে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হবে।।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া ও মুকসুদপুর ৩ টি উপজেলার মোট ৩২টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অনেকেই উপকারভোগী হয়েছেন।