আমি ঠিক যেভাবে একা হয়ে গেছি
*
সাত হাজার মাইল দূরে দাঁড়িয়ে থাকা আমার হাতে ধরা শেষ গোলাপটি তোমার ছিল
তুমি দেখতে পাও না?
অতীত হল আমার কবিতা
বর্তমান হল আমার মৃত্যু
ভবিষ্যৎ হল আমার পাঠক
তুমি একাকিত্বের কান্দন
তুমি নিঃসঙ্গতার বন্ধন
একাকিত্বের ঘামে শরীর ভরে ওঠে
বেদনার ফুল সারা মনে হাঁসফাঁস করে ফোটে
তুমি দেখতে পাও না?
শৈল্পিক একটা জুতোর বাক্স
এবং সে দেখতে সুন্দর
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা একটা জুতোর বাক্স
তুমি আমাকে এতটা সুন্দর করেছ
তুমি আমাকে আকাশ দিয়ে জমিন নিয়ে গেছ
যার চোখে শৈশব দেখতে পাবে না তাকে বিশ্বাস করতে যেও না
আমি শৈশব দেখেছি
তোমার চুলের দুই বেণি আমার স্কুলের দুটো পথের মতো
আমার স্কুল ঘিরে তোমার বুকের বোতাম
আমার শৈশবে ভরা তোমার বয়সের খাম
তোমাকে দেখে গোলাপের আলো দিয়ে জ্বলে উঠেছি
তোমাকে দেখার পর প্রজাপতি আমার ভিতর তার শৈশব ঢেলে দিয়েছে
নদী এসে গান ধরেছে কুলকুল করে পাখিদের মিছিলে
তোমার অাঙুল থেকে আমার ভোর বের হতে দেখেছি
তুমি অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছ, আমি তোমার পায়ের নিচে
তুমি দেখতে পাও না?
বেহেশত থেকে বের হয়ে আসা একটা কুকুর আমাকে মুখে ঝুলিয়ে তোমার কাছে টেনে নিয়ে যাচ্ছে
এই কুকুরই আমার ভালোবাসা
শূন্যতার খাঁ খাঁ চোখ আমাকে গিলে ধরেছে
বেদনার কালো রোদ আমাকে পুড়ে দিচ্ছে
পোড়া দেহে কাঁদে ভাঙা একটা প্রাণ
কষ্টের শেষ নিঃশ্বাসে পেয়েছি তোমার ঘ্রাণ
আমি শিখে গেছি গোলাপ কিভাবে কাঁটাসহ হাতে ধরতে হয়
সমুদ্রকে কে বলবে
আমি জমিনে আছি এবং ডুবে যাচ্ছি
কে বলবে?
খামারকান্দি, বগুড়া